গুড়াপের ভাস্তারার সেই হোম। ছবি: দীপঙ্কর দে।
ভাস্তারার হোম থেকে আবাসিক মোট ১৬ জনকে সরিয়ে দিল জেলা প্রশাসন।
শুক্রবারই ওই আবাসিকদের কামারকুণ্ডু এবং চন্দননগরের দু’টি বেসরকারি হোমে স্থানান্তরিত করানো হয়। জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিকেরা সেই কাজ তদারক করেন।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার হুগলির গুড়াপের ভাস্তারার ওই বেসরকারি হোমটির প্রধান সিমসন ইসলামের বিরুদ্ধে এক আবাসিককে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সে দিনই তাঁকে গ্রেফতার করে। নির্যাতিতাকে কোন্নগরের একটি হোমে রাখা হয়। শুক্রবার বাকি আবাসিকদের সরানো হল।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হোমটির বাইরে একটি বোর্ডে কলকাতার উল্লেখ করে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লেখা থাকলেও বাস্তবে তার কোনও অস্তিত্ব নেই। নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন আসানসোলে থাকেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
চুঁচুড়ার মহকুমাশাসক সুদীপ সরকার বলেন, “ধৃতের পরিবারের সদস্যেরা ওই হোমের একাংশে থাকেন। তাই আপাতত সেটি বন্ধ করা হয়নি। আবাসিকদের সরিয়ে নেওয়া হল। ওই হোমটির কোনও রকম রেজিস্ট্রেশন ছিল না। পুরো বিষয়টির প্রশাসনিক স্তরে তদন্ত চলছে।”
এ দিকে, আদালত ধৃতকে জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়ায় প্রশ্ন ওঠে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। কেন না পুলিশ ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে চায়নি। ওই হোমের প্রধানের মায়ের তত্ত্বাবধানে মালদহে আরও একটি হোম রয়েছে। বিজেপি এবং সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব অভিযোগ তোলেন, পুলিশ দায়সারা ভাবে তদন্ত করছে। কেননা, ধৃতকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিলে মালদহের হোমটি আদৌ নিয়মমাফিক চলছে কিনা, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারত। প্রয়োজনে, মালদহের জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করে ওই হোমটি সম্পর্কেও বিস্তারিত তদন্ত করতে পারত। কিন্তু সে রাস্তায় পুলিশ হাঁটেনি।
জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা অবশ্য ওই অভিযোগ খণ্ডন করেন। তাঁরা পাল্টা দাবি করেন, ধৃত কেউ জেল-হাজতে থাকলেই পুলিশের তাঁর সঙ্গে তদন্তের স্বার্থে কথা বলার সব পথ বন্ধ হয়ে যায় না। প্রয়োজনে পুলিশ আদালতের অনুমতি নিয়ে জেলে গিয়েই ধৃতের সঙ্গে কথা বলতে পারে।
তবে, জেলা সিপিএম ওই ঘটনা নিয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। দলের মহিলা শাখা ওই ঘটনার প্রতিবাদে এবং প্রশাসনের ‘লোক দেখানো ও ঢিলেঢালা তদন্ত’-এর বিরুদ্ধেও পথে নামছে। জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী ইতিমধ্যেই দলের মহিলা সংগঠনকে সেই নির্দেশ দিয়েছেন বলে সিপিএম সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy