Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পাট্টা মিললেও জমি মেলেনি, প্রশাসনের দ্বারস্থ ১৯ ভূমিহীন

তিন বছর আগে চাষ ও বসবাসের ভূমিদান প্রকল্পে জমির পাট্টা পেয়েছিলেন আরামবাগের তিরোল পঞ্চায়েতের সাহালালপুর মৌজার ১৯ জন ভূমিহীন দরিদ্র মানুষ। কিন্তু বিলি-বণ্টনের অভাবে এখনও তাঁরা জমি পাননি। পিচ রাস্তার পাশে ঝুপড়িতেই তাঁদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। জমির জন্য প্রশাসনের নানা মহলে দরবার করেও সুরাহা হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। সম্প্রতি একই দাবিতে তাঁরা ফের মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। গণস্বাক্ষর সংবলিত আবেদনপত্রও জমা দিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৪৯
Share: Save:

তিন বছর আগে চাষ ও বসবাসের ভূমিদান প্রকল্পে জমির পাট্টা পেয়েছিলেন আরামবাগের তিরোল পঞ্চায়েতের সাহালালপুর মৌজার ১৯ জন ভূমিহীন দরিদ্র মানুষ। কিন্তু বিলি-বণ্টনের অভাবে এখনও তাঁরা জমি পাননি। পিচ রাস্তার পাশে ঝুপড়িতেই তাঁদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। জমির জন্য প্রশাসনের নানা মহলে দরবার করেও সুরাহা হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। সম্প্রতি একই দাবিতে তাঁরা ফের মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। গণস্বাক্ষর সংবলিত আবেদনপত্রও জমা দিয়েছেন।

মহকুমাশাসক (আরামবাগ) প্রতুলকুমার বসু বলেন, “জমির বিলি-বণ্টন নিয়ে সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখে দ্রুত ওই পরিবারগুলির জন্য যাতে বসবাসের উপযোগী জমির ব্যবস্থা করা যায় সেই চেষ্টা করছি।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের জুলাই মাস নাগাদ জরিপের কাজ করতে গিয়ে দেখা যায়, ওই জমির সীমানার মধ্যে প্রায় সাত কাঠার একটি পুকুর রয়়েছে। কিন্তু ওই জমির দলিল-পরচায় তার উল্লেখ নেই। সেই সময় প্রশাসনিক ভাবে পুকুরের সমস্যার উল্লেখ করে প্রকল্পটি আটকে ছিল। পরে পুকুরের সমস্যা মিটলেও চিহ্নিত জমির পাশে যে রাস্তাটি গিয়়েছে, সেই রাস্তাটি পাট্টা-প্রাপকদের ব্যবহার করতে দিতে আপত্তি তুলেছেন জমির মালিকেরা। আরমবাগের বিডিও প্রণব সাঙ্গুই জানান, মাঠ দিয়ে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করা ছাড়া অন্য উপায় নেই। সেই রাস্তা নির্মাণের জন্য জমি কিনতে হবে নাকি ১০০ দিন কাজ প্রকল্পে গ্রামীণ রাস্তা করা যাবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ওই ১৯টি পরিবারের মধ্যে সম্প্রতি ছ’টি পরিবার ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি নির্মাণের প্রথম কিস্তির টাকাও পেয়ে গিয়েছেন। তাঁদের ইট-বালিও কেনা পড়ে রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ঝর্না সেনের অভিযোগ, “নিজের জমির অংশ চিহ্নিত না হওয়ায় বাড়ির কাজ শুরু করা যায়নি। ইট-বালি চুরি হয়ে যাচ্ছে। অভাবের সংসারে বাড়ি নির্মাণের টাকা খরচ হয়ে যাওয়ারই সম্ভাবনা বেশি।” অন্য পাট্টা-প্রাপকদের মধ্যে বিলাসীবালা সর্দার, তুলসী সর্দারদের দাবি, রাস্তা নিয়ে সমস্যা থাকলে সে বিষয়ে পরে ভাবুক প্রশাসন। আপাতত জমির বিলি-বণ্টন করা হোক। তাঁরা মাঠের আল ধরেই নিজের ভিটেয় উঠবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

land government southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE