সবুজায়ন থেকে পার্ক তৈরি বা রাস্তার মোড়ে ওয়াই-ফাই’এর সুবিধা— নতুন রূপে সাজতে চলছে ‘গ্রিন সিটি’ মেদিনীপুর। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের নগরোন্নয়ন দফতর মেদিনীপুর শহরকে ‘গ্রিন সিটি’-র তকমা দিয়েছে। শহরকে ‘গ্রিন সিটি’ হিসেবে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যেই নগরোন্নয়ন দফতর প্রকল্প জমা দিতে বলেছে মেদিনীপুর পুরসভাকে। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, ‘‘২০১৬ সালে ‘গ্রিন সিটি’-র তালিকায় মেদিনীপুর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ‘গ্রিন সিটি’ গড়তে প্রস্তাবিত প্রকল্প পাঠাতে বলা হয়েছে। দ্রুত আমরা প্রকল্প পাঠিয়ে দেব।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের পুরসভাগুলি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত। মেদিনীপুর পুরসভা ‘সি’ ক্যাটাগরিভুক্ত। ‘সি’ ক্যাটাগরিভুক্ত পুরসভা এলাকার জনসংখ্যা দেড় লক্ষের বেশি হলে সেই শহর ‘গ্রিন সিটি’-র আওতায় আসে। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী মেদিনীপুর শহরের জনসংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৬৯ হাজার। নিয়ম অনুযায়ী, দেড় লক্ষের বেশি জনসংখ্যাবিশিষ্ট শহর মেদিনীপুরও এই তকমা পেয়েছে।
‘গ্রিন সিটি’-র আওতায় আসায় রাজ্য সরকারের থেকে পাঁচ বছরে মোট আড়াই কোটি টাকা পাবে মেদিনীপুর পুরসভা। প্রথম দফার টাকা পেতে ইতিমধ্যেই ৫০ লক্ষ টাকার প্রস্তাবিত প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। পুরসভা সূত্রে খবর, প্রথম দফায় পাওয়া অর্থে শহরের বিভিন্ন জায়গায় থাকা জলাশয়গুলি সংস্কার করা হবে। শহরের রাস্তায় এলইডি পথবাতি, প্রধান রাস্তার মোড়্গুলিতে ‘ওয়াই-ফাই’ চালু, পুরসভা ভবন-সহ বিভিন্ন বাজার ও মার্কেট কমপ্লেক্সে সিসি ক্যামেরা বসানোর উপরও জোর দেওয়া হবে।
মেদিনীপুর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মাল্য চক্রবর্তী জানান, ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ‘আমরুট’ প্রকল্পে ‘আমরুট সিটি’-এর তকমা পেয়েছে মেদিনীপুর। প্রথম দফায় ওই প্রকল্পে পাওয়া ১৬ কোটি টাকায় কাজের জন্য টেন্ডারও ডাকা হয়েছে। এ বার ‘গ্রিন সিটি’-র তকমা মেলায় শহরে আরও কাজ করা যাবে। পুরপ্রধান প্রণববাবুও বলেন, ‘‘গ্রিন সিটি-র জন্য শহরের নাগরিকদের আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy