দলমার পালের হাতির হানায় রামগড়ে মৃত্যু হল দু’জনের। বৃহস্পতিবার সকালে লালগড় থানার রামগড় অঞ্চলের চাঁদাবিলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম, শান্তি দুলে (৫০)। তাঁর বাড়ি লালগড় থানার দুবরাজপুর গ্রামে।
এ দিন রাতে ফের হাতির হানায় রামগড়ে গৌরাঙ্গ ভঁুইয়া (৩৬) নামে আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি রামগড়ে।
বন দফতর সূত্রে খবর, দলমার পালের ৯০টি হাতি কুলাইকুন্ডা রেঞ্জের শঙ্করবনি জঙ্গলে চলে গেলেও ২০টি হাতি গোয়ালতোড় রেঞ্জের রামগড় বিটের খাসজঙ্গলে ছিল। দলমার ওই দলটি যাতে গোয়ালতোড়ের দিকে ফিরে না আসে সেজন্য বনকর্মীরা ব্যারিকেড করে রেখেছিলেন।
বুধবার গভীর রাতে হাতির দলটি লালগড়ের দিকে যায়। কিন্তু ভোরবেলায় ওই দলের আটটি হাতি লালগড়ের দিক থেকে আবার রামগড়ের দিকে ফিরে আসে। এ দিন সকালে শান্তিবাবু খেঁজুর গুড় বানানোর জন্য গাছে রস সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলের একটি হাতির সামনে পড়ে যান। হাতিটি তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছড়ে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। শান্তিবাবুর স্ত্রী নমিতা দুলে বলেন, ‘‘আমার স্বামী খেঁজুরের রস আনতে গিয়েছিলেন। কিন্ত তিনি হাতির সামনে পড়ে যায়। কিন্তু পালিয়ে যেতে পারেননি।"
ওই ঘটনার পর চাঁদাবিলা এলাকায় দাখিন সরেন এক বাসিন্দা হাতির তাড়া খেয়ে ছুটে পালানার সময় পড়ে গিয়ে জখম হন। তাঁকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এ দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় অড়মা গ্রামে ব্যক্তিগত কাজ সেরে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন গৌরাঙ্গবাবু। অভিযোগ, পরে পিচ রাস্তার ধারে তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেহের পাশে হাতির পায়ের একাধিক ছাপ ছিল। অনুমান, হাতিটি তাঁকে শুঁড়ে জড়িয়ে আছড়ে মারে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছেন রূপনারায়ণের ডিএফও অর্ণব সেনগুপ্ত।
রূপনারায়নের ডিএফও অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, মৃতের পরিবারকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আটটি হাতিকে জঙ্গলের গভীরে অন্য হাতিরা যেদিকে আছে, সেদিকে পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy