তমলুকে কন্যাশ্রী দিবস উদ্যাপন। নিজস্ব চিত্র।
বাবা পূজার্চনা করে সংসার চালান। তিন ভাই-বোনকে নিয়ে অভাবের সংসারে বড়ে ওঠা তমলুকের জয়রামবাটির প্রিয়ঙ্কা আচার্যের। তমলুকের কেলোমাল সন্তোষিনী হাইস্কুলের ছাত্রী প্রিয়ঙ্কার নাবালিকা অবস্থাতেই বিয়ে ঠিক করে দিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু তাতে সায় ছিল না মেয়ের।
নিজের বিয়ের তোড়জোড়ের কথা প্রিয়ঙ্কা স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবকে জানিয়েছিল। তখন সে দশম শ্রেণির পড়ুয়া। কন্যাশ্রী ক্লাব ও ব্লক প্রশাসনের সহায়তায় প্রিয়ঙ্কার বিয়ে বন্ধ হয়। তার উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনার ব্যবস্থা হয়। প্রিয়ঙ্কা ওই পদক্ষেপের জন্য এ বার পেয়েছে কন্যাশ্রী পুরস্কার। শুক্রবার ‘কন্যাশ্রী দিবস’ উপলক্ষে তমলুক ব্লক অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রিয়ঙ্কাকে শংসাপত্র এবং গাছের চারা দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
প্রিয়ঙ্কার মতই নাবালিকা বয়সে বিয়ে রুখে কন্যাশ্রী হয়েছেন কাঁথি-৩ ব্লকের ধানঘড়া জ্ঞানেন্দ্র বিদ্যাপীঠের ছাত্রী মৌমিতা মিশ্র। ২০১৯ সালে ন্যাশনাল স্কুল যোগব্যায়াম প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া কাঁথি হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী চন্দশ্রী সাহুও পেয়েছেন সেই পুরস্কার। করোনা পরিস্থিতির কারণে কলকাতায় রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানের পরিবর্তে মৌমিতাকে কাঁথি-৩ এর ব্লক অফিস এবং চন্দশ্রীকে কাঁথি মহকুমাশাসকের অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ দিন তমলুকে জেলা প্রশাসনিক অফিসের প্রাঙ্গণে ‘কন্যাশ্রী’ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বেস্ট পারফর্মিং স্কুল হিসেবে ময়না বিবেকানন্দ কন্যা বিদ্যাপীঠ, তমলুকের অনন্তপুর বাণীনিকেতন গার্লস হাইস্কুল ও হলদিয়ার বাজিতপুর সারদামণি বালিকা বিদ্যাপীঠ পুরস্কৃত হয়েছে। এছাড়া, বেস্ট পারফর্মিং কলেজ হিসাবে কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ, রামনগর কলেজ এবং পাঁশকুড়া বনমালী কলেজ পুরস্কার পেয়েছে। এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুদীপ সরকার ও অতিরিক্ত জেলাশাসক (ট্রেজারি) শেখর সেন, কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজের অধ্যক্ষ অমিত দে প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy