ঝাড়গ্রামে গুলিতে মৃত্যু যুবকের। নিজস্ব চিত্র।
ঝাড়গ্রাম শহরে দিনের বেলা কয়েকশো লোকের সামনে গুলিতে প্রাণ গেল এক যুবকের। পুরনো বিবাদের জেরে গুলি চলে বলে জানা গিয়েছে। শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে বাছুরডোবা এলাকায় অনুষ্ঠিত এক ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে। ম্যাচে দর্শক আসনে বসেছিলেন ওই যুবক। সেখানে এসে তাঁকে গুলি করে পালায় অভিযুক্ত। অভিযুক্তের গ্রেফতারির দাবিতে পথ অবরোধ করেন মৃতের পরিবারের লোকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা সেখ তকবির আলির (২৮) সঙ্গে বিশ্বজিৎ প্রধান ওরফে ন্যাড়া নামে এক যুবক মাস দুয়েক আগে একটি বিষয়ে বিরোধ হয়েছিল। সেই গণ্ডগোল নাকি মিটেও গিয়েছিল। এর পর মঙ্গলবার হঠাৎই ক্রিকেট ম্যাচে গিয়ে তকবিরকে গুলি করে বিশ্বজিৎ।
ঝাড়গ্রামের এসপি অমিক কুমার ভরত রাঠোর বলেছে, "ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ এক জন এনভিএফ কর্মী। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় পোস্টিং"। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার বাছুরডোবায় একটি ক্লাবের মাঠের মাঠে এক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা চলছিল। কয়েক জনের সঙ্গে সেখানে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন তকবির ও তাঁর ভাই সাবির। সাবির জানিয়েছেন, হঠাৎই বিশ্বজিৎ সেখানে এসে গণ্ডগোল শুরু করে। বচসার সময় বিশ্বজিৎ পকেট থেকে ২টি বন্দুক বার করে তকবিরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে তকবিরের মাথার কাছে।
গুলির শব্দে চার দিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দর্শকরা সবাই প্রাণ বাঁচাতে ছুটে পালান। দৌড়ে পালান সাবির ও তাঁদের সঙ্গে আসা বন্ধুরাও। সাবিরকেও নাকি ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাতও করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা একটি ৪ চাকার গাড়িতে এসেছিল। তাতে করেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ম্যাচের আয়োজকরা তাকবিরকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়। কিন্তু কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তকবিরের। এর পরই অভিযুক্ত বিশ্বজিৎকে গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ করেন রাধানগরের গ্রামবাসীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy