ফাইল চিত্র।
তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছিল পচা মাংস, মাছ-সহ অন্য খাবার। সে কথা জানিয়েছিলেন খোদ পুরপ্রধান। কিন্তু শনিবার দেখা গেল ওই ঘটনায় ধৃত দুই রেস্তরাঁ মালিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে অপেক্ষাকৃত ‘লঘু’ একটি মামলা।
শুক্রবার তমলুক শহরের দু’টি রেস্তরাঁ পরিদর্শনে যায় দুর্নীতি দমন শাখা এবং পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের দল। ওই যৌথ অভিযানের পরে পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন জানিয়েছিলেন, রেস্তরাঁগুলি থেকে পচা মাংস, মাছ ও মাংসজাত বিভিন্ন খাবার মিলেছে। অভিযুক্ত রেস্তরাঁ মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করার আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শনিবার পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযানে রেস্তরাঁ থেকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করা পাঁচটি গৃহস্থালির গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছে। আর তার ভিত্তিতেই তারাপ্রসন্ন সেনাপতি এবং সুপ্রিয় বেরা নামে ওই দুই রেস্তরাঁ মালিকের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন শাখা।
ধৃতদের এ দিন তমলুকের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাশে তোলে পুলিশ। মামলার শুনানির পর ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম নাগ ওই দু’জনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের নির্দেশ দেন।
এদিকে, শুক্রবারের অভিযানে ধৃতদের রেস্তরাঁ থেকে পচা মাংস, মাছ উদ্ধারের কথা খোদ পুরপ্রধান জানালেও রেস্তরাঁর মালিকদের বিরুদ্ধে মামলায় তার কোনও উল্লেখ না থাকায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। ঘটনায় পুরসভা এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করছেন শহরবাসীর একাংশ।
অবশ্য তমলুকের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেনের এ দিন বক্তব্য, ‘‘পুরসভা ও দুর্নীতি দমন শাখা যৌথভাবে রেস্তরাঁয় অভিযান চালিয়েছিল। দু’টি রেস্তরাঁয় পচা মাংস ও মাছ-সহ নানা খাবার উদ্ধার হয়েছিল বলে জানতে পেরেছিলাম। তবে ওই ঘটনায় পুলিশ যে মামলা দায়ের করেছে, তাতে পচা মাংস বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে কি না, জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
গোটা ব্যাপারে তমলুকের এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘বিষয়টি দুর্নীতি দমন শাখা দেখছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা দায়ের হয়েছে।’’ এ বিষয়ে জানতে চেয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভি সোলেমন নেসাকুমারকে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy