গতবারের ম্যাসকট ‘ক্র্যাবি’।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে চলতি বছরের ‘বাংলার সৈকত উৎসব’। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে ওল্ড দিঘার সৈকতাবাসে একটি বৈঠকও হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন, পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ তথ্য-সংস্কৃতি বিভাগ এবং দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের যৌথ আয়োজনে ওই উৎসব হবে দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর এবং তাজপুর এলাকায়। উৎসব চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রশাসন সূত্রের খবর, ‘সৈকতে তিন দিন, আনন্দ অন্তহীন’— এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবারের উৎসবে পর্যটন শিল্পকে আরও জনপ্রিয় করার জন্য জোর দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে সৈকত উৎসবের তিন দিনের বেশ কয়েকটি কর্মসূচি আলোচিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, সৈকত সাফাই, মন্দারমণিতে বিচ ম্যারাথন, তাজপুরে বিচ ভলিবল, ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা, মোটরবাইক র্যালি, ওয়াটার স্পোর্টস প্রভৃতি। তবে এবারের সৈকত উৎসবের ‘ম্যাসকট’ কী হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। গত বছর এই ‘ম্যাসকট’ ছিল ‘ক্র্যাবি’ (লাল কাঁকড়া)। এবারেও ‘ক্র্যাবি’র প্রত্যাবর্তন হতে পারে বলে খবর।
সম্প্রতি দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যটনের প্রসারের জন্য সৈকত উৎসবকে ভাল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাই এবার সৈকত উৎসবে প্রতিদিনই থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কাঁথি মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, উৎসবে হেলিকপ্টারে ‘জয় রাইডে’রও সুবিধা থাকবে। এ দিনের বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক রশ্মি কমল, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস, কাঁথি মহকুমাশাসক শুভময় ভট্টাচার্য, দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক সুজন দত্ত প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy