Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ঝাঁঝ ‘কম’ দ্বিতীয় দিনের ধর্মঘটে

স্থানীয় সূত্রের খবর, মেদিনীপুর শহরে এ দিন সকালে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল করে সিপিএম এবং এসইউসি’র শ্রমিক সংগঠন। কালেক্টরেটের সামনে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের বিক্ষোভ চলাকালীন ধর্মঘটের বিরোধিতা করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের মিছিল সামনে আসে। তাতে এলাকায় সামান্য শোরগোল পড়ে যায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। 

স্বাভাবিক জনজীবন মেদিনীপুরে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

স্বাভাবিক জনজীবন মেদিনীপুরে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০৭
Share: Save:

প্রথম দিনে যদিও কিছুটা সাড়া ছিল, বামদের ডাকা ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে তার তেমন প্রভাব দেখা মিলল না। বুধবার জনজীবন স্বাভাবিকই থাকল পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়। যদিও বিচ্ছিন্ন কিছু এলাকায় পথে দেখা গিয়েছে ধর্মঘট সমর্থনকারীদের। সে সব এলাকায় ধর্মঘটের পক্ষে মিছিল হলেও, তাতে তেমন ঝাঁঝ ছিল না দাবি করছেন নিত্যযাত্রীরা। কার্যত বিনা বাদাতেই ছুটেছে বাস, ট্রেনও। এ দিন ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, খড়গপুর, বেলদা, গড়বেতা— দুই দেলার প্রায় সর্বত্রই ছিল স্বাভাবিক ছন্দ। অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও কাজকর্ম হয়েছে চেনা ঢঙেই। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এদিনও রাস্তায় ছিল পুলিশি টহল।

স্থানীয় সূত্রের খবর, মেদিনীপুর শহরে এ দিন সকালে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল করে সিপিএম এবং এসইউসি’র শ্রমিক সংগঠন। কালেক্টরেটের সামনে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের বিক্ষোভ চলাকালীন ধর্মঘটের বিরোধিতা করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের মিছিল সামনে আসে। তাতে এলাকায় সামান্য শোরগোল পড়ে যায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সকালের দিকে পথে বাস কিছু কম থাকলেও বেলা বাড়ার পরে বাসের সংখ্যাও বেড়েছে। ‘বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি বলেন, ‘‘এ দিন দিনভর বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল।’’ তবে ঝাড়গ্রামে রাস্তায় সরকারি বাস থাকলেও বেসরকারি বাস তেমন চোখে পড়েনি এ দিন। বাজার, দোকানপাট খোলা থাকায় স্বাভাবিক ছিল দাসপুর, চন্দ্রকোনা, ঘাটাল, সবং, ডেবরা, দাঁতন, গোয়ালতোড়, নারায়ণগড় সহ জেলার প্রায় সর্বত্রই। তবে এর মাঝে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনাও ঘটেছে। খড়্গপুরের বোগদায় ডাকঘর, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ-সহ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল এদিন। প্রেমবাজারে পথ অবরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। বেলদায় মিছিল করে সিটু। এদিন বন্ধ ছিল ঝাড়গ্রাম হেড পোস্ট অফিস। দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ছাড়া অন্য ব্যাঙ্কের শাখাগুলিও বন্ধ ছিল। তবে এছাড়া ঝাড়গ্রাম জেলার প্রায় সর্বত্রই এ দিন স্বাভাবিক ছিল জনজীবন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Strike Bharat Bandh 2019 CPIM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE