Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ধৃত, তপ্ত ধাদিকা 

এ দিন ধৃতের মুক্তি চেয়ে সকালে গড়বেতা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিকেলে প্রতিবাদ মিছিল হয়।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গড়বেতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৯ ০১:১২
Share: Save:

কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের অভিযোগে বিজেপির গড়বেতা মধ্য মণ্ডলের সভাপতিকে রবিবার গভীর রাতে ধাদিকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে সোমবার দিনভর তেতে রইল গড়বেতার এই এলাকা।

এ দিন ধৃতের মুক্তি চেয়ে সকালে গড়বেতা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিকেলে প্রতিবাদ মিছিল হয়। মিছিলে ছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, দলের জেলা সভাপতি শমিত দাশ প্রমুখ। সায়ন্তন এ দিন দাবি করেন, ‘‘আমাদের যতজনকে খুশি গ্রেফতার করুন। তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবেন না। তৃণমূল এখন একটা মৃতদেহ।’’ পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পুলিশ লরি আটকে জোর করে টাকা আদায় করছিল। তার প্রতিবাদ করার জন্যই তন্ময় দোগরি নামে দলের ওই নেতাকে ধরা হয়েছে।

যদিও এই অভিযোগ মানেনি পুলিশ। পুলিশের দাবি, রবিবার রাতে ধাদিকায় কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করেছেন তন্ময়। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘কেউই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের নির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছিল। পুলিশের যে পদক্ষেপ করার তাই করেছে।’’ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই ধাদিকায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, রবিবার রাতে ধাদিকায় বালি বোঝাই লরি আটকে টাকা আদায় করছিল পুলিশ। স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ করলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। গোলমালের খবর পেয়ে তন্ময় ওই এলাকায় যান। গড়বেতার বিজেপি নেতা মদন রুইদাসের দাবি, ‘‘তন্ময় ওখানে আগে থেকে ছিলেন না। গোলমালের পর পেয়ে যান। তন্ময়কে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’’

গোটা রাজ্যেই বেআইনিভাবে মামলায় জড়িয়ে পুলিশ টাকা তুলছে—পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পাশে বসিয়ে এই অভিযোগ করেছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে বিজেপির দাবি, পুলিশের বিরুদ্ধে ধাদিকার রাস্তায় বালি বোঝাই গাড়ি দাঁড় করিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ নতুন নয়। রবিবার রাতে স্থানীয়রা ফের এই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন।

জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, টাকা আদায়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর বক্তব্য, রাতের রাস্তায় পুলিশের নজরদারি চলে। গড়বেতার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলির মধ্যে ধাদিকা অন্যতম। তাই রবিবার রাতে সেখানেও নজরদারি চলছিল। গড়বেতা থানার এক সূত্র জানাচ্ছে, রবিবার রাতে ওই এলাকায় নজরদারিতে পুলিশের ৪-৫ জনের একটি দল ছিল। তার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারও ছিলেন। তন্ময় এসে সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করেন। পুলিশ না কি গাড়ি থেকে টাকা তুলছিল? জেলা পুলিশের ওই কর্তার দাবি, ‘‘পুলিশের কাছে অভিযোগ এলে পুলিশ নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিত।’’

গড়বেতার তৃণমূল বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এখানে আমাদের দলের কোনও ব্যাপার নেই। এ ক্ষেত্রে পুলিশের যে পদক্ষেপ করার পুলিশ করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Arrest Garbeta BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE