Advertisement
০৭ মে ২০২৪

হল না তলবি সভা, হাইকোর্টে যাবে বিজেপি 

বিজেপি কাউন্সিলর গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “চেয়ারম্যানের তলবি সভার নির্দিষ্ট সময় শনিবার শেষ হচ্ছে। এ বার হাইকোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। পুরসভাতেও লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হবে।” যদিও পুরপ্রধানের দাবি, “যে যা পারে করুক।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামজীবনপুর শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:০৪
Share: Save:

নির্ধারিত ১৫ দিনের পেরিয়ে গেলেও রামজীবনপুর পুরসভায় তলবি সভা ডাকা হল না। বিজেপি জানিয়েছে এ বার তারা হাইকোর্টে যাবে।

গত ৪ সেপ্টেম্বর তৃণমূল পরিচালিত রামজীবনপুর পুরসভার পুরপ্রধান নির্মল চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল বিজেপি। পুর আইন অনুযায়ী, পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে আনাস্থা আনার ১৫ দিনের মধ্যে তলবি সভা ডাকতে হবে। সেখানে চেয়ারম্যানকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে।

বিজেপি কাউন্সিলর গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “চেয়ারম্যানের তলবি সভার নির্দিষ্ট সময় শনিবার শেষ হচ্ছে। এ বার হাইকোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। পুরসভাতেও লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হবে।” যদিও পুরপ্রধানের দাবি, “যে যা পারে করুক। সংখ্যাগরিষ্ঠতা আমাদের দখলেই আছে। আমি তলবি সভা ডাকব না।” পুরপ্রধান ওই সভা না ডাকলে উপপুরপ্রধান ওই সভা ডাকতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তিনি সাত দিন সময় পাবেন। যদিও এই পুরসভায় উপ-পুরপ্রধান নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।

বছর খানেক ফাঁকা থাকার পরে বিজেপি অনাস্থা ডাকার পরে এই পুরসভায় তড়িঘড়ি উপ পুরপ্রধান নিয়োগ করেন পুরপ্রধান। পুর নিয়ম অনুযায়ী, উপ পুরপ্রধান নিয়োগের আগে পুরসভার সব কাউন্সিলরদের জানাতে হয়। এ ক্ষেত্রেও জানানো হয়েছিল বটে তবে সেটা ডাকযোগে। অভিযোগ, বিজেপির কাউন্সিলরদের হাতে চিঠি পৌঁছনোর আগেই তৃণমূল কাউন্সিলর সুজিত পাঁজা নতুন উপ-পুরপ্রধান নিবার্চিত হয়ে যান। বিজেপির ঘাটাল সাংগাঠনিক জেলা সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের দাবি, “উপ পুরপ্রধান নিয়োগ আইন মেনে হয়নি। তাই এ ক্ষেত্রে উপ পুরপ্রধানে তলবি সভা ডাকার কোনও অধিকার নেই।”

গত ৩ সেপ্টেম্বর রামজীবনপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বর্তমান কাউন্সিলর শিবরাম দাস তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এর ফলে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ১১ আসন বিশিষ্ট এই পুরসভায় এখন বিজেপির ৬, তৃণমূলের ৪ ও নির্দলের ১ জন কাউন্সিলর রয়েছে। পুরসভায় অনাস্থা আনার পরেই রামজীবনপুর ফাঁড়ির আইসি (ইনচার্জ) সমর লায়েক বদলি হয়ে যান। যদিও সেই বদলিকে রুটিন বলে দাবি করে প্রশাসন। শিউলি সিংহ (ভট্টাচার্য) ও রিঙ্কু নিয়োগী নামে বিজেপির দুই কাউন্সিলরকে অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে কখনও প্রলোভন কখনও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে বিজেপি।
কয়েক মাস আগে কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোরের এক সভায় রামজীবনপুর পুরসভা তৃণমূলের দখলেই থাকবে বলে দাবি করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেও দলবদল আটকানো যায়নি। ২৪ সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশতবর্ষ উদ্‌যাপনে ঘাটালে আসছেন মমতা। তার মাঝেই রামজীবনপুর পুরসভার রংবদল হয়ে যায় কি না এখন সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Midnapore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE