প্রতীকী চিত্র।
দিন তিনেক আগেই এক বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের দোকানে লুটপাট- সহ দলীয় কর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটে বাকচায়। ফের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর বোমাবাজির অভিযোগ উঠল বুধবার রাতে।
বাকচা গ্রামের নিমতলায় দুই বিজেপি নেতা-সহ তিনজনকে লক্ষ্য করে ওই রাতে বোমার ছোড়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে রাতেই ময়না থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
বিজেপি সূত্রের খবর, স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ণ ভঞ্জ বিজেপির ময়না দক্ষিণ মণ্ডল কমিটির সদস্য। বুধবার রাত ১০টা নাগাদ নারায়ণ ও তাঁর পরিবারের লোকজন বারান্দায় বসে থাকার সময় একদল তৃণমূল কর্মী সেখানে বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই নারায়ণের বাড়ির অদূরে আর এক বিজেপি নেতা চন্দন মণ্ডলের ভেড়ির অফিসেও হামলা চালানো হয়।
পেশায় শিক্ষক চন্দন যৌথভাবে মাছের ভেড়ি চালান। বুধবার রাতে ভেড়ির অফিসেই চন্দন এবং আরও দু’জন ঘুমিয়ে ছিলেন। অভিযোগ, পৌনে ১১টা নাগাদ তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অফিসে বোমাবাজি করে। তাঁরা কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন। তবে বোমায় অফিসের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ।
বিজেপির জেলা (তমলুক) সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘বাকচায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপরে হামলা করছে তৃণমূল। বুধবার রাতেও দুই নেতাকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে। হামলায় জড়িত অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ পদক্ষেপ না করায় মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।’’
রাতেই এলাকায় এলাকায় গিয়েছিল পুলিশ। তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের ময়না ব্লক সভাপতি সুব্রত মালাকার বলেন, ‘‘বাকচায় বিজেপির নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত নয়। এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy