পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু হতে চলেছে আগামী ১ জুলাই। এই কর কী ভাবে প্রদান করতে হবে, কারা এই করের আওতায় আসবেন, তা নিয়ে সচেতন করতে শুক্রবার খড়্গপুরে আলোচনাসভার আয়োজন করল কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতর।
খড়্গপুরের রূপনারায়ণপুরে একটি হোটেলে আয়োজিত আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, পরিষেবা কর সংগ্রহ করে এমন সংস্থার প্রতিনিধিরা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শুল্ক দফতরের জয়েন্ট কমিশনার ডিপিএস কুশওয়া। এ ছাড়াও ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (মেদিনীপুর) এ কে মণ্ডল, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (হলদিয়া) ভারতরাম দেবাজি। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা সুপার অঙ্কুশ বন্দ্যোপাধ্যায়।
মূলত ‘গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স’ (জিএসটি) কী সে সম্পর্কে আলোচনাসভায় বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়। এই করের আওতায় আসার আগে দ্রুত সকলকে নথিভুক্তির পরামর্শও দেওয়া হয়। এ দিনের সভায় উপস্থিত প্রায় সকলেই জানান, ইতিমধ্যেই তাঁরা জিএসটি-র আওতায় আসার জন্য নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নাম নথিভুক্ত করেছেন।
কেন্দ্র এতদিন কারখানা শুল্ক, পরিষেবা কর, ‘অ্যাডিশনাল টেক্সটাইল’-সহ ৮ প্রকার কর আদায় করত। আর ‘ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স’, ‘সেলস্ ট্যাক্স’-সহ ৯ প্রকার কর আদায় করত রাজ্য সরকার। এর জেরে বিভিন্ন রাজ্যে জিনিসপত্র দামে পার্থক্য হত। তবে জিএসটি চালু হলে সারা দেশে জিনিসপত্রের দামে আর ফারাক থাকবে না বলে আশা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সমস্ত ব্যবসায়িক ক্ষেত্রকে একটি সুতোয় বাঁধতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। দফতরের যুগ্ম কমিশনার ডিপিএস কুশওয়া বলেন, “আপনারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই কর প্রদানের জন্য অনলাইনে নিজের প্রতিষ্ঠানের নাম নথিভুক্ত করুন। সাময়িকভাবে জটিল মনে হলেও পরে দেখবেন আগের মতোই সব কিছু চলছে।” কর আদায়ের প্রক্রিয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় এ দিন সেই নিয়ম সম্পর্কেও বোঝানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy