Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

করোনাকে হারিয়ে দিল দুই একরত্তি

পশ্চিম মেদিনীপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে তিনশো ছাড়িয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২০ ০৪:৪৬
Share: Save:

জেলার দুই পৃথক এলাকার দু’জন শিশু করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। একেবারে খুদে শরীরেও বাসা বেঁধেছিল ওই মারণ ভাইরাস। তড়িঘড়ি দুই শিশুকে ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালে। সুস্থ হয়ে সম্প্রতি তারা বাড়ি ফিরেছে। স্বস্তিতে দুই শিশুর পরিজনেরা। স্বস্তিতে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরাও। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল বলছেন, ‘‘জেলার দুই শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। সুস্থ হয়ে ওরা বাড়ি ফিরেছে। এটা তো স্বস্তিরই।’’

পশ্চিম মেদিনীপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে তিনশো ছাড়িয়েছে। সংক্রমিতদের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। আক্রান্তদের মধ্যে ছিল দুই শিশুও। একজনের বয়স দু’বছর, অন্যজনের বয়স আড়াই বছর। এ ক্ষেত্রেও পরিযায়ী-যোগে সংক্রমণ হয়েছিল। দু’বছরের শিশুটির বাড়ি কেশপুরের পঞ্চমীতে। তার বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। কর্মসূত্রে মহারাষ্ট্রে থাকতেন। গত মাসে সেখান থেকে ফিরেছিলেন। বাবার সঙ্গে সেখানে থাকত ওই শিশু এবং তাঁর মা-ও। শুরুতে মহারাষ্ট্র ফেরত ওই পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। পরে তাঁর ছেলেরও সংক্রমণ ধরা পড়ে। মায়ের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট অবশ্য নেগেটিভ এসেছিল। করোনা আক্রান্ত শিশুকে পাঠানো হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের বড়মা হাসপাতালে। তার বাবাও সেখানে ভর্তি ছিলেন। অন্যদিকে, আড়াই বছরের শিশুটির বাড়ি মেদিনীপুর সদর ব্লকের ভবানীনগরে। তার বাবাও পরিযায়ী শ্রমিক। কর্মসূত্রে মহারাষ্ট্রে থাকতেন। গত মাসে সেখান থেকে ফিরেছিলেন। ওই শ্রমিকের সঙ্গে সেখানে থাকতেন তাঁর স্ত্রী, ছেলেও। এ ক্ষেত্রে অবশ্য ওই পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু তাঁর স্ত্রী এবং ছেলের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছিল। আক্রান্ত শিশু এবং তার মা- কে পাঠানো হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের বড়মা হাসপাতালে।

কেশপুরের বিডিও দীপক ঘোষ বলেন, ‘‘পঞ্চমীর এক শিশুর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। শিশুটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। এটা সত্যিই ভাল খবর।’’ মেদিনীপুরের (সদর) বিডিও ফারহানাজ খানম বলেন, ‘‘ভবানীনগরের এক শিশু করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। সে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। এটা আশাব্যঞ্জক ব্যাপারই।’’ আশার আলো দেখছে জেলার স্বাস্থ্যভবনও। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, ‘‘বলতে দ্বিধা নেই, আক্রান্ত দুই শিশুকে নিয়ে আমরাও খানিক চিন্তায় ছিলাম। জেলার আক্রান্তদের মধ্যে ওরাই ছিল কনিষ্ঠতম। সুস্থ হয়ে ওরা বাড়ি ফিরেছে। ওদের চনমনে ভাবও ফিরেছে। এটা সত্যিই ভাল খবর।’’

জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘যথেষ্ট সাবধান না হলে বাচ্চারা রেহাই পায় না। যে কোনও সংক্রমণ ঠেকানোর একমাত্র উপায় পরিচ্ছন্নতা।’’ তাঁর দাবি, ‘‘দুই শিশু সহ জেলার সংক্রমিতদের অনেকেই ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। আগামী দিনে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়বে। যত দিন যাবে, সংক্রমণের হার তত কমবে, সুস্থ মানুষের সংখ্যা তত বাড়বে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE