নতুন সভাপতি নিয়ে বেআব্রু হয়ে পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের কোন্দল। কাল, রবিবার মেদিনীপুরে দলের বর্ধিত সাধারণ সভা ডেকেছেন সমীর রায়। সমীরবাবুর দাবি, তিনিই জেলা কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন, “এখন দলের সাংগঠনিক নির্বাচন চলছে। নির্বাচন চলাকালীন কী ভাবে কেউ সভাপতি হন বুঝছি না। প্রদেশ থেকে আমাদের কাছে বার্তাও আসেনি।” মেদিনীপুর শহর কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন খানেরও বক্তব্য, ‘‘জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পদে কাউকে বসানো হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’’
আজ, শনিবার মেদিনীপুরে বৈঠকে বসছেন শম্ভুনাথবাবু, সৌমেনবাবুরা। সমীরবাবুর ডাকা সভার মতো সেখানেও আলোচ্য— ১২ জুলাই কলকাতায় দলের সমাবেশের প্রস্তুতি। একই কারণে পিঠোপিঠি দুই কর্মসূচি কেন? সমীরবাবুর জবাব, ‘‘জেলা কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার পরে রবিবারই প্রথম দলের বর্ধিত সাধারণ সভা করতে চলেছি। যাঁরা জানেন না আমি সভাপতি হয়েছি, ওই দিন নিশ্চয়ই জেনে যাবেন।” অন্য দিকে শম্ভুনাথবাবুর বক্তব্য, ‘‘শনিবারের বৈঠক অনেক আগেই ঠিক হয়ে রয়েছে। আমরা যাঁরা জেলায় কংগ্রেসটা করি, তাঁরাই ১২ জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করব। ১ জুলাই মেদিনীপুরে রক্তদান শিবিরের প্রস্তুতি নিয়েও কথা হবে।’’
মানস ভুঁইয়ারা সদলবলে তৃণমূলে যাওয়ার পরে পশ্চিম মেদিনীপুরে কংগ্রেসের শক্তি অনেকটাই কমেছে। এক সময়ে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন মানসবাবুর ভাই বিকাশ ভুঁইয়া। গত অগস্টে তৃণমূলে নাম লেখান তিনি। তার আগে জুলাইয়ে খড়্গপুরে কংগ্রেস-শিবিরে ভাঙন ধরায় তৃণমূল। পরে মানসবাবুও দল ছাড়েন। এখন দলের কোন্দল প্রকাশ্যে এলে তো মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে? জেলা কংগ্রেসের এক নেতার জবাব, “আশা করি, এই সমস্যা বেশি দিন থাকবে না!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy