প্রতীকী ছবি
আরও এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে (লেভেল- ২)। মৃতের নাম ফকির মান্ডি (৫৫)। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানার হুমগড়ে। শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরে সব দিক দেখে দেহ পরিজনেদের দেওয়া হয়েছে। ফকিরের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।
শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়েই ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এই মৃত্যু নিয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা। গিরীশচন্দ্র বলেন, ‘‘সবটা না জেনে কিছু বলতে পারব না।’’ তবে করোনা হাসপাতালে একের পর এক রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। বুধবার এখানে তাপস পড়িয়া নামে বছর বত্রিশের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। দু’দিনের মাথায় আবার মৃত্যু। মৃতদের পরিজনেদের একাংশের অভিযোগ, এই হাসপাতালে ঠিকঠাক চিকিৎসাই হচ্ছে না। নিয়মিত সিনিয়র চিকিৎসকেরা আসেনই না। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের ছুঁয়েও দেখা হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই অভিযোগ মানেননি। হাসপাতালের এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘চেষ্টা করেও অনেক সময়ে আশঙ্কাজনক রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।’’
হাসপাতালের এক সূত্রে খবর, ফকির প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি হন। গত বুধবার তাঁকে মেদিনীপুরের এই করোনা হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয় ওই দিনই। বৃহস্পতিবার তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল মেদিনীপুর মেডিক্যালে। শুক্রবার রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। তবে শুক্রবারই মৃত্যু হয়েছে ফকিরের।
মেদিনীপুরের এই করোনা হাসপাতালে খুব বেশি রোগী ভর্তি থাকেন না। বরং আরেকটি করোনা হাসপাতালে (লেভেল- ১) তুলনায় অনেক বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। যাঁদের শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকে তাঁদেরই লেভেল-২ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কারণ এখানে আইসিইউ, ভেন্টিলেশনের সুবিধে রয়েছে। শুক্রবার যেমন এই হাসপাতালে ৬ জন মাত্র রোগী ভর্তি ছিলেন। এক জন আবার ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর এক জন মারা গিয়েছেন। তাঁর দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন পরিজনেরা। করোনা মোকাবিলায় জেলাস্তরে টাস্কফোর্স রয়েছে। লেভেল-২ হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামোর বিষয়টি নিয়ে এই টাস্কফোর্সের বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টির দিকে আরও ভালভাবে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। টাস্কফোর্সের বৈঠকে ওই হাসপাতালের এক আধিকারিককে না কি কড়াভাবে সতর্কও করা হয়। এরপরও পরিস্থিতির বিশেষ হেরফের হয়নি বলে অভিযোগ। সিনিয়র চিকিৎসকেরা অনিয়মিতই রয়েছেন। হাসপাতালের এক আধিকারিকের আশ্বাস, ‘‘চিকিৎসা পরিকাঠামোর দিকে আরও নজর দেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy