Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
‘আমার ধান আমার চাতাল’ প্রকল্প

ধান শুকনোর যন্ত্র কিনতে সাহায্য সরকারের

ধান থেকে চাল তৈরির ব্যবসার কাজে সাহায্যের জন্য এককালীন আর্থিক অনুদান দেবে সরকার। ধান শুকনোর জন্য পাকা চাতাল তৈরি, ধান শুকনো করার যন্ত্র ও শস্যগোলা তৈরির জন্য এই আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৫ ০১:০১
Share: Save:

ধান থেকে চাল তৈরির ব্যবসার কাজে সাহায্যের জন্য এককালীন আর্থিক অনুদান দেবে সরকার। ধান শুকনোর জন্য পাকা চাতাল তৈরি, ধান শুকনো করার যন্ত্র ও শস্যগোলা তৈরির জন্য এই আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। ‘আমার ধান আমার চাতাল’ নামে প্রকল্পে এই আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। চলতি বছরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৬০০ জনকে এই প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিক খগেন্দ্রনাথ ঘোড়ই বলেন, ‘‘ধান থেকে চাল তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ এমন স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা পরিবারগুলিকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য চিহ্নিত করা হচ্ছে। বাছাই করা স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা পরিবারকে এককালীন মোট ২৩ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে। জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে আবেদনপত্র গ্রহন করা হয়েছে । শীঘ্রই এই সরকারি আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।’’

জেলা কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিজিআরইআই (ব্রিংগিং গ্রিন রেভোলিউশন ইন ইস্টার্ন ইন্ডিয়া) কর্মসূচিতে বরাদ্দ অর্থে ধান থেকে চাল তৈরি ও ধান সংরক্ষণের জন্য এই আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই রাজ্যে ‘আমার ধান আমার চাতাল’ নামে প্রকল্পে ওই আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য ধান থেকে চাল তৈরির জন্য পাকা চাতাল তৈরি, ধান শুকনো করার যন্ত্র (ড্রায়ার মেসিন) কেনা ও শস্য গোলা তৈরির জন্য এই আর্থিক দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ধান থেকে চাল তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে এমন স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিক জানান, বাণিজ্যিকভাবে রাইস মিলগুলিতে ধান থেকে চাল তৈরির জন্য আধুনিক পদ্ধতিতে ধান শুকনো করা থেকে চাল তৈরির কাজ চলে কিন্তু অনেক পরিবার বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরেই ধান থেকে চাল তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। বর্তমানে অনেক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা ধান থেকে চাল তৈরির ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে। ধান থেকে চাল তৈরির কাজে যুক্ত এইসব স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা পরিবারকে আধুনিক পদ্ধতিতে ধান শুকনো করা ও ধান সংরক্ষণে সাহায্য সাহায্যের জন্য সরকারিভাবে এককালীন আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

নতুন এই প্রকল্প অনুযায়ী, ধান শুকনো করার জন্য নির্দিষ্ট মাপের (৭২০ বর্গ ফুট ) পাকা চাতাল তৈরি, ধান শুকনো করার যন্ত্র কেনা ও শস্যগোলা তৈরির জন্য মোট ৩৮ হাজার টাকা লাগবে। এর মধ্যে সরকারিভাবে এককালীন মোট ২৩ হাজার টাকা সাহায্য দেওয়া হবে। আর বাকি টাকা সাহায্য প্রাপক স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা পরিবারকে বহন করতে হবে। প্রকল্প অনুযায়ী, ধান শুকনো করার জন্য ৭২০ বর্গ ফুট মাপের পাকার চাতাল তৈরির জন্য ২০ হাজার টাকা খরচ হবে। এর মধ্যে ১০ হাজার টাকা সরকারি সাহায্য হিসেবে দেওয়া হবে। শস্যগোলা তৈরির ১০ হাজার টাকা খরচ হবে। ৫ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। আর ধান শুকনো করার আধুনিক যন্ত্র (ড্রায়ার মেশিন) কেনার জন্য ৮ হাজার টাকার পুরোটা সরকারি সাহায্য হিসেবে দেওয়া হবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষি বিপনন দফতরের আধিকারিক খগেন্দ্রনাথ ঘোড়ই জানান, ‘‘ধান শুকনো করার যন্ত্রের ডিজাইন তৈরি করেছে খড়্গপুর আইআইটি। ধাতব ওই যন্ত্র ব্যবহার করে দ্রুত ধান শুকনো করা যাবে একজন ব্যক্তি ওই যন্ত্র চালিয়ে ধান শুকনো করতে পারবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

District authority farmers pady rice
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE