খড়্গপুর স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে তর্কাতর্কি। নিজস্ব চিত্র
নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের আঁচ সবথেকে বেশি পড়েছে রেল পরিষেবায়। রবিবার ছুটির দিনেও বজায় থাকল যাত্রী দুর্ভোগ। খড়্গপুর স্টেশনে এ দিন বিক্ষোভও দেখালেন যাত্রীরা।
এ দিন মূলত হায়দরাবাদগামী ফলকনামা ও তিতলাগড়গামী ইস্পাত এক্সপ্রেসের যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান। ওই দু’টি ট্রেন হাওড়া থেকে ছাড়ে। যাত্রীরা হাওড়া স্টেশনে গিয়ে জানতে পারেন হাওড়ার বদলে ট্রেন দু’টি এ দিন খড়্গপুর থেকে ছাড়বে। এরপরে তাঁরা কোনওরকমে লোকাল ট্রেন ধরে খড়্গপুরে আসেন। কিন্তু সেখানে এসে জানা যায় যে ইস্পাত এক্সপ্রেস বাতিল হয়েছে এবং ফলকনামা নির্দিষ্ট সময়েই খড়্গপুর থেকে ছেড়ে গিয়েছে। এরপরেই যাত্রীরা স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কর্তব্যরত স্টেশন সুপারভাইজার রামচন্দ্র বাস্তির সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। যাত্রীদের একাংশ তাঁকে মারতে যান। আরপিএফ এসে পরিস্থিতি সামলায়। বিক্ষোভের মুখে ফলকনামার যাত্রীদের ইস্টকোস্ট এক্সপ্রেস ও টাটানগরের যাত্রীদের লোকাল ট্রেনে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেন রেল কর্তৃপক্ষ। পরে রামচন্দ্র বলেন, “আমাকে কেউ হেনস্থা করেনি। তবে রেজিস্ট্রার খাতা ছিঁড়ে দিতে চাইছিল। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ওই যাত্রীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করেছি।”
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার বনগাঁর শ্রীতমা দেব কর্মসূত্রে হায়দরাবাদে থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘হাওড়া থেকে ফলকনামা না পেয়ে লোকাল ট্রেন ধরে খড়্গপুরে পৌঁছেছি। কিন্তু আমাদের পৌঁছনোর আগেই ফলকনামা খড়্গপুর ছেড়েছে। তাই এই বিক্ষোভ।’’ হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী হরিগোবিন্দ আগরওয়ালও একই কথা বলেন। ইস্পাত এক্সপ্রেসের যাত্রী অভিষেক বাণীর ক্ষোভ, “ত্রিপুরা থেকে হাওড়া স্টেশনে এসেছিলাম। সেখান থেকে ইস্পাতে করে টাটানগর যাওয়ার কথা ছিল। আসন সংরক্ষিতও ছিল। হাওড়ায় গিয়ে শুনলাম খড়্গপুর থেকে ট্রেন ছাড়বে। খড়্গপুরে এসে শুনলাম ট্রেনটাই বাতিল।” বিহারের বাসিন্দা মহম্মদ রহিম বক্স ফলকনামার যাত্রী ছিলেন। তিনি আবার বলেন, ‘‘রেলের পরিষেবা ঠিক নেই। তবে যে কারণে প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে তাকে সমর্থন করছি।”
খড়্গপুরের সিনিয়ার ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার আদিত্য চৌধুরী বলেন, “একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। খোঁজ নিচ্ছি। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy