জ্বলছে ক্রেন। নিজস্ব চিত্র
আগুন লাগল হলদিয়া বন্দরে। শনিবার বন্দরের ১৩ নম্বর বার্থে একটি ‘মোবাইল হারবার ক্রেনে’ হঠাৎ আগুন লেগে যায়। আগুন থেকে বাঁচতে ঝাঁপ দিয়ে গুরুতর আহত হন ক্রেনের চালক দ্রাভিন রাই। তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
হলদিয়া বন্দর সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বন্দরের ১৩ নম্বর বার্থে একটি কয়লা বোঝাই জাহাজে পণ্য চাপানোর কাজ হচ্ছিল। সেখানেই ক্রেনটির ব্যবহার করা হচ্ছিল। হঠাৎ ক্রেনের উপরের অংশে ধোঁয়া বার হতে দেখেন বার্থের শ্রমিকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই ধোঁয়া থেকে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। বিপদ বুঝে উঁচু ক্রেনের উপর থেকে ঝাঁপ দেন চালক দ্রাভিন। নীচে জাল পেতে তৈরি ছিলেন উদ্ধারকারীরা। তবে সেই জালের সঠিক অংশে পড়েননি দ্রাভিন। জাল থেকে মাটিতে আছড়ে পড়েন তিনি। এত গুরুতর জখম হন দ্রাভিন। প্রথমে দ্রাভিনকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতার এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। দ্রাভিন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।
এদিকে, হলদি নদীতে বাতাস থাকায় ক্রেনের আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। হলদিয়া দমকল কেন্দ্র এবং আশেপাশের বিভিন্ন শিল্পসংস্থা থেকে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। তাদের দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে গোটা হলদিয়া বন্দর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে ১৩ নম্বর বার্থের ওই জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
বন্দর সূত্রের খবর, ওই বার্থে একটি বেসরকারি সংস্থার ক্রেন ছিল। আগুনে ক্রেনের বেশির ভাগটাই পুড়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ক্রেনটির দাম প্রায় ৩০ কোটি টাকা বলে দাবি করা হয় সংস্থার তরফে। তবে কীভাবে ক্রেনে আগুন লাগল, তা নিয়ে এখনও কোনও কারণ জানা যায়নি। তবে বন্দর প্রশাসনের একাংশের অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরে ক্রেনে আগুন লেগেছিল।
এ ব্যাপারে হলদিয়া বন্দরের প্রশাসনিক ম্যানেজার অমলকুমার দত্ত বলেন, ‘‘ওই ক্রেনের কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও জানা নেই। বিশেষজ্ঞদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁরাই তদন্ত করে দেখবেন যে, কী কারণে আগুন লেগেছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy