প্রতীকী ছবি।
বাজ পড়ে মৃত্যু হল যুগলের। তাঁদের মধ্যে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে এলাকাবাসীর দাবি। সোমবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া থানার সোনাকড়া এলাকায় একটি ইটভাটা চত্বরের ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম জিতেন সিংহ (৩৩) ও কুনকি দোলাই (২৭)। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে সোনাকড়া ইটভাটার লাগোয়া একটি বাগান থেকে দু’জনের ঝলসানো দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জিতেনের বাড়ি বেলিয়াবেড়ার বনকাটি গ্রামে। পেশায় তিনি ট্রাক্টর চালক ছিলেন। কুনকির বাড়ি সোনাকড়া গ্রামে। কয়েক বছর আগে কুনকির বিয়ে হয়েছিল বিহারের ছাপরা জেলায়। তবে কুনকি বহুদিন আগেই স্বামীর ঘর ছেড়ে এসে সোনাকড়া গ্রামে বাপের বাড়িতে থাকতেন। তারপর বিবাহিত জিতেনের সঙ্গে কুনকির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্থানীয়রা জানান, ওই দু’জন প্রায়ই ইটভাটা চত্বরে এসে দেখা করতেন। এ দিনও সোনাকড়া ইটভাটার লাগোয়া একটি বাগানে দু’জনে গল্প করছিলেন। তখনই বাজ পড়ে। স্থানীয়রা জানান, ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। জিতেনের সঙ্গে আলিঙ্গনবদ্ধ অবস্থায় কুনকির দেহ দেখে দু’টি পরিবারের লোকজনই হতবাক হয়ে যান। কুনকির বাবা ধীরেন দোলাই এ দিন পুলিশকে বলেন, ‘‘মেয়ের সঙ্গে জিতেনের পরিচয় ছিল জানতাম। তবে সম্পর্ক যে এত ঘনিষ্ঠ ছিল তা আমরা বুঝতে পারিনি।’’
এ দিন ধান রোয়ার সময়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। লালগড় থানার বেলাটিকরি অঞ্চলের ঝাঁটিবনি গ্রামের ঘটনা। মৃত ফুলমণি মাণ্ডি-র (৫০) বাড়ি লালগড়ের বেলাটিকরি অঞ্চলের শালপাতড়া গ্রামে। এ দিন ঝাঁটিবনি গ্রামে অন্যের জমিতে ধান লাগাতে গিয়েছিলেন ফুলমণি। আচমকা বাজ পড়লে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরিজনরা তাঁকে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আরও দুই মহিলা গুরুতর জখম হন। এ দিন লালগড়ের ভাঙাডালি গ্রামেও মাঠে চাষের কাজ করার সময়ে বাজ পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নিলীমা শবর (৩১)।
গোয়ালতোড়ের মানসিংহপুরে আবার বাজ পড়ে ৫টি ছাগল মারা গিয়েছে। এ দিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দা শম্ভু হাঁসদা মাঠে ছাগল চরাতে গিয়েছিলেন। বেলা ১১টা নাগাদ বৃষ্টি শুরু হয়। তখনই বাজ পড়ে ৫টি ছাগলের মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy