মেলায় প্রচার। নিজস্ব চিত্র
দোলমেলাতেও জনসংযোগের সুযোগ হাতছাড়া করল না শাসকদল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঐতিহ্যশালী বগড়ির দোলমেলার প্রাঙ্গণে ঝুলছে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ লেখা বড় বড় ব্যানার। পাশাপাশি মেলায় আসা দর্শনার্থীদের উদ্দেশে গড়বেতার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া হোর্ডিং ঝোলানো হয়েছে।
শিলাবতী নদীর তীরে বগড়ির রঘুনাথবাড়ির দোলমেলা পাঁচশো বছরেরও বেশি পুরনো। সাতদিনের এই মেলায় দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় এই সময়। প্রায় প্রতিবছরই এই দোলমেলায় শিবির করে বসেন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। কোনও নির্বাচনের আগে মেলা হলে টুকটাক জনসংযোগও সারেন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। এ বার কাছাকাছি কোনও নির্বাচন নেই। তবে বছর ঘুরলে বিধানসভা নির্বাচন। তার উপর গড়বেতা ২ ব্লকের যে শিয়ালখালা অঞ্চলে এই বগড়ি, সেখানে গত লোকসভা ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তাই জনসংযোগে বাড়তি তৎপর তৃণমূল।
‘বাংলার গর্ব মমতা’ নাম দিয়ে জনসংযোগ শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। তার উপস্থিতি বগড়ির দোলমেলাতেও। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া ‘বাংলার গর্ব মমতা’ লেখা ১০টি বড় বড় ব্যানার টাঙানো হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। আছে ছোট ব্যানারও। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা দলের সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতি মনিরুল খান মানছেন, ‘‘শুধু ব্যানার নয়, পোস্টার, হোর্ডিং, প্রবেশপথে দর্শনার্থীদের জন্য শুভেচ্ছাবার্তা লেখা বোর্ড বসানো হয়েছে।’’ শুধু তাই নয়, দোলমেলা প্রাঙ্গণে রঘুনাথবাড়ি বুথের তৃণমূল কার্যালয়টি দলীয় পতাকা আর টুনি বাল্ব দিয়ে সাজানো হয়েছে। বুথ সভাপতি মস্তান আলি খানের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা দোলমেলায় আসা লোকজনদের সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করছেন। তৃণমূলের গড়বেতার ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ, গোয়ালতোড়ের যুব তৃণমূল সভাপতি গণেশ দত্ত-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা ইতিমধ্যে মেলায় এসেছেন।
স্থানীয় বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দোলমেলায় প্রচুর মানুষ আসেন। তাঁদের সহযোগিতা করছেন কর্মীরা।’’ তৃণমূলের এই উদ্যোগকে খোঁচা দিয়ে দলের গোয়ালতোড় উত্তর মণ্ডলের সভাপতি উজ্জ্বল হাটুই বলেন, ‘‘ওরা যতই জনসংযোগ করুক, মানুষ ওদের পাশে নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy