Advertisement
০৮ মে ২০২৪

প্রকাশ্য সুখটান, অভিযানে শুরু জরিমানা আদায়  

আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। এ বার শুরু হল জরিমানা আদায়। দিতে হবে ২০০ টাকা। প্রকাশ্যে ধূমপান রুখতে সোমবার মেদিনীপুরে এক অভিযান হয়। অভিযানে প্রকাশ্যে ধূমপায়ীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ০১:০০
Share: Save:

আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। এ বার শুরু হল জরিমানা আদায়। দিতে হবে ২০০ টাকা। প্রকাশ্যে ধূমপান রুখতে সোমবার মেদিনীপুরে এক অভিযান হয়। অভিযানে প্রকাশ্যে ধূমপায়ীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, ‘‘মেদিনীপুরে জরিমানা আদায় শুরু হয়েছে। প্রকাশ্যে ধূমপান করলেই জরিমানা দিতে হবে। অভিযান চলবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আগেই এ নিয়ে প্রচার চলেছে। সতর্ক করা হয়েছে। প্রকাশ্যে ধূমপান বরদাস্ত করা হবে না।’’ জানা গিয়েছে, এ দিন মেদিনীপুরে ১০জনের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তাঁদের সকলেই প্রকাশ্যে ধূমপান করছিলেন। হাতেনাতে ধরে ফেলে অভিযানে নামা দলটি।

মেদিনীপুরে ইতিউতি বিড়ি-সিগারেট-গুটখার গুমটি রয়েছে। প্রকাশ্যেই চলে ধূমপান। কমবয়সী ছেলেরাও নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। শুধু প্রত্যক্ষ নয়, পরোক্ষ ধূমপানেও বিপদ রয়েছে। সবদিক দেখে মেদিনীপুরে অভিযান শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর, পুলিশের যৌথ দল। প্রকাশ্যে ধূমপান রুখতেই এই অভিযান। সোমবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলে। গুমটি মালিকদের সতর্ক করা হয়। পড়ুয়াদেরও সচেতন করা হয়। যৌথ দলে ছিলেন জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান।

জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘আগেও শহরে অভিযান হয়েছিল। এ দিনও হয়েছে। এ দিনও আমরা সতর্ক করেছি। প্রকাশ্যে ধূমপান চলতে দেখলে জরিমানাও করা হয়েছে।’’ সোমবার সকাল থেকেই শহরে চরকিপাক দিয়েছে এই যৌথ দল। মেদিনীপুরে তামাকের রমরমা চলছেই। স্কুল, কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ তামাকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। শুধু প্রত্যক্ষ নয়, পরোক্ষ ধূমপানেও বিপদ রয়েছে। পরোক্ষ ধূমপান ধূমপান করেন না যুবক থেকে শিশু সকলেরই ক্ষতি করে। এ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর, পুলিশ তৎপর নয় বলেও অভিযোগ। রবীন্দ্রনাথবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘তামাক নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর সব রকম চেষ্টা চলছে। স্কুল, কলেজে সচেতনতা কর্মসূচি হয়। ম্যাজিক, ক্যুইজের মাধ্যমেও এই কর্মসূচি চলে।’’

যৌথ দল মানছে, এখন স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের একাংশও তামাকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা জানাচ্ছেন, দেশে ১০০ জন ক্যানসার চিকিৎসাধীন রোগীর মধ্যে ৪০ জন তামাক ব্যবহারজনিত। শহর, শহরতলির স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেপিঠে বিড়ি-সিগারেট-গুটখার দোকান রয়েছে। পয়সা দিলেই মেলে তামাকজাতীয় সব বস্তু। প্রকাশ্যে চলে ধূমপান। নেশার আসর বসে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে নেশার বস্তু বিক্রি করলে সাজার নিদান রয়েছে। জরিমানার নিদানও রয়েছে। তামাক ব্যবহারের ফলে মানব শরীরের ক্ষতি হয় না, এমন কোনও অঙ্গের উল্লেখ করা মুশকিল। হৃদরোগের মতো ভয়ানক ব্যাধিরও জন্ম হয়। এ দিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে যৌথ দল জানিয়েছে, প্রকাশ্যে ধূমপান করে ধরা পড়লে ২০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। সেই টাকা না দিলে গ্রেফতারের নিদানও রয়েছে। এ দিন জানানো হয়েছে, বাসস্ট্যান্ড, বাজার, স্কুল, কলেজের আশপাশ-সহ জনবহুল স্থানে কোনও ভাবেই প্রকাশ্যে ধূমপান করা যাবে না। এ নিয়ে আরও প্রচারও হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Smoking Administration
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE