প্রতীকী ছবি।
ভোটের জন্য বাস প্রয়োজন। আর সেই বাস পেতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে, ভোটের জন্য যে সংখ্যক বাস প্রয়োজন, তা জেলায় নেই। সমস্যা এখানেই। প্রশাসনের ওই সূত্র জানাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে পাশ্ববর্তী হুগলি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক অমিত দত্তের অবশ্য দাবি, ‘‘তেমন সমস্যার কিছু নেই। এ ক্ষেত্রে যা পদক্ষেপ করার করা হচ্ছে।’’ প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরে ভোটের জন্য ৯২৮টি বাস প্রয়োজন। এরমধ্যে ট্যুরিস্ট বাস এবং মিনি বাস প্রয়োজন ১৭০টি। অথচ পশ্চিম মেদিনীপুরে বাস রয়েছে ৭৫০টি। জেলা পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক মানছেন, ‘‘সবদিক দেখেই ভিন্ জেলা থেকে ১৫০- রও কিছু বেশি বাস ভাড়ায় নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। ’’
কোন মহকুমায় কত সংখ্যক বাস প্রয়োজন, সেই হিসেবও করেছে প্রশাসন। প্রশাসনের এক সূত্র জানাচ্ছে, শুধু মহকুমা নয়, একেবারে ব্লকভিত্তিক এই হিসেব হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনটি মহকুমা। মেদিনীপুর, খড়্গপুর এবং ঘাটাল। প্রশাসনের ওই সূত্র জানাচ্ছে, ঘাটাল মহকুমায় ভোটের জন্য বাস প্রয়োজন ১৭৭টি। খড়্গপুরে ৪৬৪টি। আর মেদিনীপুরে ২৮৭টি। এরমধ্যে খড়্গপুরে ৪২টি ট্যুরিস্ট বাস, ২৮টি মিনি বাস প্রয়োজন। মেদিনীপুরে ৩৯টি ট্যুরিস্ট বাস, ২৮টি মিনি বাস প্রয়োজন। আর ঘাটালে ১৯টি ট্যুরিস্ট বাস, ১৪টি মিনি বাস প্রয়োজন। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, ১০ শতাংশ বাস অতিরিক্ত হিসেবে রাখতে হয়। সেই হিসেবেই জেলায় ৯২৮টি বাস প্রয়োজন।
পরিবহণ দফতর থেকে কমিশনকে জানানো হয়েছিল, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ৭৫০টি বাস ভাড়ায় পাওয়া যেতে পারে। জেলায় এই সংখ্যক বাসই রয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক মানছেন, ‘‘পশ্চিম মেদিনীপুরের দুই কেন্দ্রে একই দিনে ভোট। পাশের জেলা ঝাড়গ্রামেও ওই দিনে ভোট। না- হলে বাসের এই সমস্যা হত না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy