কাঁথি দমকল কেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র
লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে কয়েকদিন আগেই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি প্রার্থী নির্বাচিত করে প্রচারও শুরু করেছে। সেই প্রচারের অঙ্গ হিসাবে এলাকায় এলাকায় জনসভা করবে রাজনৈতিক দলগুলি। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এতে ‘চিন্তা’ বেড়েছে কাঁথির দমকল কর্মীদের। কারণ, কর্মী সঙ্কটে ভুগছেন তাঁরা। যেখানে আধিকারিক-কর্মী মিলিয়ে খাতায় কলমে দফতরে ৬০ জনের থাকার কথা। সেখানে বর্তমানে কাঁথি দমকল দফতরের কর্মী সংখ্যা মাত্র ২৪।
কাঁথি দমকল সূত্রের খবর, আগে কেবলমাত্র আগুন লাগলে তাদের ডাক পড়ত। কিন্তু বর্তমানে তাদের কাজের পরিধি বেড়েছে। বড় মেলা, খেলা, জন সভা, হেলিপ্যাড তৈরি, বিপর্যয় মোকাবিলাতেও দমকল কর্মীদের ডাক পড়ে। বর্তমানে লোকসভা ভোটের প্রচারে রাজনৈতিক দলগুলির আয়োজিত বড় জনসভাগুলিতেও তাদের ডাক পড়তে পারে। লোকবলের অভাবে কাঁথির মতো এত বড় এলাকায় কীভাবে ওই সব পরিষেবা সমান তালে দেওয়া যাবে, সে নিয়ে চিন্তা বেড়েছে দমকলের।
দফতর সূত্রের খবর, কাঁথি দমকল কেন্দ্রে দু’জন স্টেশন অফিসার, চার জন সাব অফিসার, ন’জন লিডার, ন’জন চালক, ৩৬ জন ফায়ার অপারেটর থাকার কথা। কিন্তু তার বদলে দফতরে রয়েছে একজন স্টেশন অফিসার, একজন সাব অফিসার, আটজন লিডার, চার জন চালক এবং ১০ জন ফায়ার অপারেটর। এত সংখ্যায় কর্মীর ঘাটতি থাকায় তাঁদের অতিরিক্ত সময় ডিউটি করতে হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নীচুতলার কর্মীদের একাংশ।
কর্মীরাই জানাচ্ছেন, কাঁথি দমকল কেন্দ্রের একমাত্র স্টেশন অফিসার গত ১০ মার্চ থেকে ছুটিতে রয়েছেন। এক সাব অফিসারও অসুস্থতার কারণে কয়েকদিন ছুটিতে গিয়েছিলেন। মাঝের ওই সময়ে লিডারদের ভাগাভাগি করে দফতর চালাতে হচ্ছে বলে খবর। আবার এগরা বা রামনগর দমকল কেন্দ্রের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার অসুস্থ হলে বা ছুটিতে গেলে সেই কেন্দ্রও পরিচালিত হয় কাঁথি কেন্দ্র থেকে। দমকলের মতো জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে এভাবে কতদিন চলবে, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কাঁথির দমকল দফতরের কর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, “ভোটের এই মরসুমে বহু ভিআইপি নেতা এলাকায় সভা করতে আসবেন। তখন দফতরের ব্যস্ততা আরও বাড়বে। কর্মী না থাকলে আমরা সামাল দেব কী করে!’’ আপাতত পরিষেবা সামাল দিতে কয়েকজন অস্থায়ী কর্মীকে দফতরে নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
কাঁথি দমকল কেন্দ্রে কর্মী সঙ্কট নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার তপনকুমার বোস বলেন, “দফতরে কর্মী সংখ্যা কম রয়েছে, এটা ঠিক। তেমনই নতুন করে কয়েক মাস আগেই প্রায় দেড় হাজার ফায়ার অপারেটর নিয়োগ করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত এই কর্মী সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy