মারমুখী বাহিনী: রবিবার ভোটের কেশপুরে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
সকাল থেকেই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলছিল। দিনের শেষেও সেটাই বজায় থাকল মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে।
তৃণমূলের অভিযোগ, দাঁতন বিধানসভার সোলেমানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩ ও ১৪ নম্বর বুথের ৫০ মিটারের মধ্যে জমায়েত করে বিজেপি। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, তাদের কর্মীদের লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। অভিযোগ মানেনি পুলিশ। জেনকাপুরের ১৩৯, ১৪০, মনোহরপুরের ১৭৬, ১৭৭, ১৭৮ এবং চাতালপাড়া ২১৯ নম্বর বীরভদ্রপুর ৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান। দাঁতন ২ ব্লকের ৩২ নম্বর বুথে বিজেপির এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুপুরে দাঁতন বিধানসভার মোহনপুরের রামপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে যান বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তখন তৃণমূল তাঁর কনভয়ের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
মেদিনীপুর শহরের কামারপাড়া, অলিগঞ্জ, বটতলাচক, মিঁয়াবাজার, কর্ণেলগোলা সহ কয়েকটি এলাকায় অশান্তি হয়। তৃণমূলের শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডবের অভিযোগ, ‘‘হার নিশ্চিত জেনেই বিজেপির লোকেরা কয়েকটি এলাকায় গোলমাল করার চেষ্টা করেছে। ওরা বাইরে থেকে লোকজন এনেছিল।’’ বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, কয়েকটি বুথের সামনে ভোটারদের প্রভাবিত করা ও বুথ জ্যামের চেষ্টা করেছে তৃণমূল। রবিবার সকালে মেদিনীপুর শহরতলির খয়েরুল্লাচকে দফায় দফায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়। বিজেপির দাবি, খয়েরুল্লাচকে তৃণমূলের হামলায় দলের ৪ জন কর্মী জখম হয়েছেন। তৃণমূলের আবার দাবি, শহরের অলিগঞ্জে বিজেপির হামলায় তাদের ৪ জন কর্মী জখম হয়েছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নারায়ণগড়ের বেলদা ১ পঞ্চায়েতের পাতলি ১১৭ নম্বর বুথের সামনে তৃণমূলের বুথ ক্যাম্পে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। আহত হন ৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনকে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে একজনকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে নারায়ণগড়ের বরদাই ১৯৯ নম্বর বুথের তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। মকরামপুরের কয়েকটি বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ও বুথ জ্যামের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। হোসেনপুরে শনিবার রাতে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে। কেশিয়াড়িতে রজনীকান্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯০ নম্বর বুথে গোলমাল করার অভিযোগে এক তৃণমূল কর্মীকে আটক করা হয়। কেশিয়াড়ির একটি বুথে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে এক তৃণমূল কর্মীকে চড় মারা হয় বলে অভিযোগ।
এ দিন খড়্গপুরের কয়েকটি বুথে বহিরাগত ঢোকার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। খড়্গপুর রেল বালিকা বিদ্যালয়ে ইভিএম মেশিনে ভোট দেওয়ার সময় ভিভিপ্যাটে ভুল ভোট ধরা পড়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরে ইভিএম বদল করা হয়। সতকুঁইয়ের ১০৬ ও ১০৭ নম্বর বুথে তৃণমূল ছাপ্পা দিয়েছে বলে অভিযোগ করে বামেরা। তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার অভিযোগ, ‘‘এক জন প্রার্থীর উপস্থিতিতে আমাদের কর্মীকে চড় মারা হয়েছে। খড়্গপুরেও ওঁরা বহিরাগত ঢুকিয়েছিল।’’ বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘মেদিনীপুর লোকসভায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। যা অশান্তি হয়েছে বুথের বাইরে হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy