বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলছেন বিজেপি কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
প্রচারে ঝড় তোলার আগে ভোটারদের মনটা বুঝতে হবে। সেই লক্ষ্যেই গোয়ালতোড় ও চন্দ্রকোনা রোড এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। বুঝতে চাইছেন হাওয়া ঠিক কোন দিকে।
ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গোয়ালতোড়ের আমলাশুলি, মাকলি, সারবোত, চন্দ্রকোনা রোডের নয়াবসত, রসকুণ্ডু, সাতবাঁকুড়ার মতো এলাকায় কয়েকদিন ধরেই বিজেপির কর্মীরা কখনও দলবেঁধে, কখনও এক-দু’জন করে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে যাচ্ছেন। কথা বলছেন গৃহকর্তা ও বাড়ির অন্য লোকজনেদের সঙ্গে। তাঁদের দাবি-দাওয়া, ভাল-মন্দ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন।
বিজেপির চন্দ্রকোনা রোডের নেতা জেলা সহ সভাপতি রাজীব কুণ্ডুর ব্যাখ্যা, ‘‘আড্ডার মেজাজে সহজ ভাবে মানুষের মনের কথাটা জেনে নিলে নির্বাচনী প্রচারের কাজে সুবিধা হয়। ’’ শনিবার আমলাশুলির কয়েকটি গ্রামে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা আমলাশুলি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সলিল চক্রবর্তী। তিনিও বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষ আগে সিপিএমকে দেখেছেন, এখন তৃণমূলকে দেখছেন। বিজেপি সম্পর্কে তাঁদের ধারণা কী, বিজেপি কি মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারবে, তাঁদের প্রত্যাশাই বা কি— এ সব জানতেই ভোটারদের বাড়িতে যাচ্ছি।’’ এ-ও তো প্রচারের অঙ্গ? সলিলের জবাব, ‘‘এটা প্রচার শুরুর আগে মহড়া বলতে পারেন।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপি সূত্রে খবর, ভোটারদের কাছ থেকে কোথাও পাচ্ছেন ইতিবাচক ধারণা, কোথাও নেতিবাচক। হাসিমুখে তা মেনেও নিচ্ছেন দলের কর্মীরা। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য চন্দ্রকোনা রোডের বাসিন্দা ধীমান কোলের দাবি, ‘‘মানুষ এখন বিজেপিকে চাইছেন।’’
যদিও বিজেপির এই কৌশলে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি যতই কৌশল নিক এ বার তারা ফিনিশ। মানুষ ওদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy