Advertisement
০৭ মে ২০২৪

কেন মানস, মমতা বোঝালেন ভিডিয়োয়

মমতার কথায়, ‘‘আমার মেদিনীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী মানস ভুঁইয়া। তিনি আমাদের রাজ্যসভার সাংসদ রয়েছেন। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন, উনি তো রাজ্যসভার সাংসদ রয়েছেন, তাহলে তাঁকে কেন তৃণমূলের প্রার্থী করা হল?’’

ক্ষুদিরামকে কুর্নিশ ভূমিপুত্রের। নিজস্ব চিত্র

ক্ষুদিরামকে কুর্নিশ ভূমিপুত্রের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০২
Share: Save:

তিনি বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ। আবার লোকসভায় জিতে সাংসদ হতে ভোটের ময়দানে নেমেছেন। মেদিনীপুরের সেই তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়াকে কেন প্রার্থী করল দল, ভিডিয়ো বার্তায় তার ব্যাখ্যা দিলেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘এআইটিসি মেদিনীপুর’ নামে এক ফেসবুক পেজে আপলোড করা এই ভিডিয়ো-বার্তায় গোড়াতেই মমতা তুলে ধরেছেন বর্তমান সাংসদের ফের সাংসদ হওয়ার দৌড়ে নামার কারণ। মমতার কথায়, ‘‘আমার মেদিনীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী মানস ভুঁইয়া। তিনি আমাদের রাজ্যসভার সাংসদ রয়েছেন। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন, উনি তো রাজ্যসভার সাংসদ রয়েছেন, তাহলে তাঁকে কেন তৃণমূলের প্রার্থী করা হল?’’ এর জবাব দিয়েছেন মমতাই। বলেছেন, ‘‘কারণটা খুব পরিষ্কার। মানসবাবু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি সবং থেকে দীর্ঘদিন বিধায়ক হিসেবে কাজ করেছেন। মন্ত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি কাজ করেছেন। আমি মনে করি, মানস ভুঁইয়াকে রাজ্যসভায় নয়, মানায় লোকসভায়।’’ মানসের ভূয়সী প্রশংসা করে তৃণমূলনেত্রী বলেছেন, ‘‘লোকসভায় মানুষের কথা বলার জন্য মানস ভুঁইয়ার বিকল্প আর কেউ হতে পারেন না।’’ সোমবার দিনভর মুখ্যমন্ত্রীর এই ভিডিয়ো-বার্তা তৃণমূলকর্মীদের ফেসবুকে ঘুরপাক খেয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে সোমবার মেদিনীপুরে ছিলেন মানস ভুঁইয়া। তৃণমূলনেত্রীর ওই বার্তা প্রসঙ্গে মানস বলেন, ‘‘ওঁর এই বার্তা আমার কাছে আশীর্বাদ, শুভেচ্ছা। আমি অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি ওঁকে।’’

কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসার পরে মানসকে ঘিরে বারবার প্রকাশ্যে এসে নতুন-পুরনোর কোন্দল। লোকসভা ভোটের প্রচার পর্বেও তৃণমূলের কোন্দল বেআব্রু হয়েছে কেশিয়াড়ি ও খড়্গপুরে। রেলশহরে তো মানসের সামনে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন দুই গোষ্ঠীর নেতা। তৃণমূলের একাংশ তাই করছেন, এমন পরিস্থিতিতে মানসের উপর আস্থার কথা ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়ে মমতা আসলে কোন্দলেই রাশ টানতে চেয়েছেন, বুঝিয়ে দিয়েছেন মানস তাঁর প্রার্থী।

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থীর অবশ্য দাবি, কোনও লড়াই তাঁর কাছে কঠিন নয়। এ দিন মেদিনীপুরে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘৪০ বছর বিধানসভায় বলেছি সবংয়ের কথা। কত অত্যাচার। মার খেয়েছি। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েছি। তাও পিছিয়ে যাইনি। সবং ছাড়িনি। এ বার আপনাদের কথা বলতে যাবো সংসদে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE