Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus Lockdown

রেস্তরাঁ ও মল ফাঁকা

দুই জেলায় শপিং মল, হোটেল-রেস্তরাঁও খুলেছে, তবে ছন্দ ফেরেনি। খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্টে জেলার সব থেকে বড় শপিং মলে ১৯টি শো-রুম খুলেছে।

১০ জুন থেকে খুলবে ঝাড়গ্রাম শহরের একটি রেস্তরঁা। সেটি জীবাণুমুক্ত করা হল সোমবার (বাঁ দিকে)। ঘাটাল শহরে খুলল শপিং মল। সেখানে ঢোকার আগে ক্রেতাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ ও কৌশিক সাঁতরা

১০ জুন থেকে খুলবে ঝাড়গ্রাম শহরের একটি রেস্তরঁা। সেটি জীবাণুমুক্ত করা হল সোমবার (বাঁ দিকে)। ঘাটাল শহরে খুলল শপিং মল। সেখানে ঢোকার আগে ক্রেতাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ ও কৌশিক সাঁতরা

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২০ ০৩:১৯
Share: Save:

সোমবার খুলল সরকারি, বেসরকারি অফিস। ঝাঁপ তুলল শপিং মল, হোটেল, রেস্তরাঁ। খুলতে শুরু করল পর্যটন কেন্দ্রগুলি। অফিসগুলিতে হাজিরা প্রায় স্বাভাবিক হলেও শপিং মলে ক্রেতার দেখা মেলেনি। ফাঁকা রেস্তরাঁ। পর্যটকেরও দেখা নেই।

সোমবার থেকে মেদিনীপুরের সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলি সচল হচ্ছে। ৭০ শতাংশ কর্মী আসতে শুরু করেছেন। মেদিনীপুর কালেক্টরেট, জেলা পরিষদে এ দিন ব্যস্ততা ছিল। বিভিন্ন সরকারি অফিসে ছিল পোস্টার— ‘মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ’। গড়বেতা ১ ব্লক অফিসে প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং হচ্ছে। ব্লক অফিসে রূপশ্রীর আবেদন জমার ভিড় ছিল এ দিন। পঞ্চায়েত সমিতির বর্ধিত সভা হয়েছে দূরত্ব মেনে। গোয়ালতোড়ের জিরাপাড়ার দুর্গাবাঁধের বীজখামারের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সিজার মজুমদার বলেন, ‘‘বীজখামার খোলা আছে ২০ এপ্রিল থেকে। এ দিন ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।’’ নারায়ণগড়, কেশিয়াড়ি, দাঁতন ও বেলদায় সরকারি অফিসগুলি আগেই খুলেছিল।

খড়্গপুরে আবার সরকারি-বেসরকারি অফিস থেকে শিল্প সংস্থায় কর্মী সঙ্কটের জেরে স্বাভাবিক চেহারা ফেরেনি। একটি মেটালিক্স কারখানার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অভিজিৎ রায় বলেন, “৭৫ শতাংশ কর্মী এসেছেন। আমরা সব কর্মীকেই ডাকছি। যাঁরা ভিন্ জেলায় বাড়িতে চলে গিয়েছেন, তাঁদের যাতায়াতে সমস্যা রয়েছে।” বোগদা ডাকঘরের ভারপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার অরূপ দাস জানান, ২টো পর্যন্ত ডাকঘর খোলা। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “আমার অফিসে ৭০ শতাংশ কর্মী এসেছেন। যাঁরা অনেক দূরে থাকেন তাঁদের যাতায়াতে সমস্যা হওয়ায় বাড়িতে থেকে কাজ করছেন।” ঝাড়গ্রামে জেলাশাসকের দফতর-সহ বিভিন্ন ব্লক অফিসে হাজিরা ছিল ৮০-৯০ শতাংশ।

দুই জেলায় শপিং মল, হোটেল-রেস্তরাঁও খুলেছে, তবে ছন্দ ফেরেনি। খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্টে জেলার সব থেকে বড় শপিং মলে ১৯টি শো-রুম খুলেছে। একটি নামী বিপণির কর্মী সংগঠনের সম্পাদক স্বপন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যাবতীয় করোনা বিধি মানছি। কিন্তু ক্রেতা কই!” মেদিনীপুর ও ঘাটাল শহরে রেস্তরাঁ খুললেও লোক আসেনি। ঘাটাল শহরে দু’টি শপিং মলও খুলেছে। ঝাড়গ্রাম শহরের একমাত্র মলটি দিন তিনেক আগেই খুলেছে। আর কয়েকটি রেস্তরাঁ খুললেও মূলত হোম সার্ভিসই রাখা হচ্ছে।

এ দিনই খুলেছে পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের বাঁদরভুলা ও লোধাশুলি প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্র। তবে পর্যটক নেই। নিগমের এক আধিকারিক জানান, ১৫ জুন থেকে অনলাইনে বুকিং ও স্পট বুকিং শুরু হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown Malls Restaurant
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE