কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সভার জন্য মেদিনীপুরে জেলা পরিষদের সভাঘর চেয়েও পেল না বিজেপি। জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ২৭ মে ওই সভাঘরে অন্য অনুষ্ঠান আছে। পরিস্থিতি দেখে শুক্রবার দুপুরে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহের দফতরে যান বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়। তাতেও লাভ হয়নি। তুষারবাবুকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে।
স্বভাবতই ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ ‘আমরা-ওরা’র রাজনীতি করছে। বিজেপির জেলা সভাপতি তুষারবাবু বলেন, “কত করে বললাম, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসছেন। মেদিনীপুরের এই সভাঘরটা খুব প্রয়োজন। সভাধিপতি জানালেন, ওই দিন জেলা পরিষদের একটা বৈঠক রয়েছে। তাই কিছুতেই দেওয়া যাবে না।’’ তুষারবাবুর যুক্তি, জেলা পরিষদ চত্বরে তো ছোট-মাঝারি একাধিক সভাঘর রয়েছে। জেলা পরিষদের বৈঠক তো তারই একটিতে করা যেত।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরাদেবীর অবশ্য বক্তব্য, “ওই দিন গ্রামীণ চিকিত্সকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনেক আগের। ফাঁকা থাকলে সভাঘর ভাড়ায় না দেওয়ার কিছু ছিল না।’’ সভাধি, “ওঁরা (বিজেপি নেতারা) যখন এসেছিলেন, বলেছিলাম বোর্ডটা দেখুন। পরপর ন’টা বৈঠক রয়েছে। ওঁরা বোর্ডটা দেখেও গিয়েছেন।”
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি পালনে নানা অনুষ্ঠান হবে এ রাজ্যেও। সেই উপলক্ষেই আগামী ২৭ মে মেদিনীপুর শহরে বিজেপির এক সভায় যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। মেদিনীপুরে ভাল সভাঘর বলতে প্রদ্যোত্ স্মৃতি সদন অর্থাত্ জেলা পরিষদের সভাঘর। প্রায় এক হাজার আসন, সঙ্গে উন্নতমানের আলো এবং শব্দের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। শহরের বাকি সভাঘরগুলোর মধ্যে বিদ্যাসাগর হল, ফিল্ম সোসাইটি হল অন্যতম। তবে দু’টি হলেই আসন সংখ্যা কম। আলো এবং শব্দের ব্যবস্থাও নেই ভাল নয়। স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আবার গ্যালারি থাকলেও স্থায়ী চেয়ারের ব্যবস্থা নেই। সব দিক বিবেচনা করে জেলা পরিষদের সভাঘরেই স্মৃতির সভা করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা বিজেপি। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিদ্যাসাগর হলে সভা করার কথা ভাবছেন নেতৃত্ব।
এর আগে সিপিএমও দলের জেলা সম্মেলনের জন্য জেলা পরিষদের এই সভাঘর ভাড়া চেয়ে পায়নি। সিপিএমের দাবি ছিল, মাস দুয়েক আগে আবেদন করা হলেও তাদের জানানো হয়েছিল, যে তিনদিন সম্মেলন হওয়ার কথা, সেই তিনদিন সভাঘর ‘বুকড্’ আছে। বিজেপির জেলা সভাপতি তুষারবাবু বলেন, “কথা বলে মনে হল ওঁরা (জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ) আমাদের সভাঘর ভাড়ায় দিতে ইচ্ছুক নন!” কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy