প্রতীকী ছবি।
মূল অভিযুক্ত এখনও ফেরার। পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা কুরবান শা খুনের ঘটনায় জড়িত অন্য অভিযুক্ত এবং ‘ইনফর্মার’দের খোঁজে মঙ্গলবার মাইশোরা এলাকায় রাতভর তল্লাশি চালাল পুলিশ। তাতে পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, এদের মধ্যে চারজন এলাকায় বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত।
কুরবান শা খুনে মূল অভিযুক্ত বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান ও তার তিন ফেরার সঙ্গীকে ধরতে বিশেষ তদন্তকারী দল ‘সিট’ গঠন করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, আনিসুরকে ধরার চেষ্টার পাশাপাশি তাদের নজর এবার আনিসুর ঘনিষ্ঠদের উপরে। যার একটা বড় অংশ মাইশোরা এলাকায় বিক্ষুব্ধ তৃণমূল হিসাবে পরিচিত।
মঙ্গলবার পুলিশ যাদের আটক করেছে, তাদের মধ্যে এক জনের বাবা বুধবার বলেন, ‘‘কুরবান-খুন কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার রাতে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ও কোনও কিছুর সঙ্গেই যুক্ত নয়। পুলিশ এখনও ওকে ছাড়েনি।’’ আর এক আটকের বাবা বলেন, ‘‘আমার ছেলে রাজনীতি করে না। পুলিশ কেন ওকে ধরে নিয়ে গেল বুঝতে পারছি না।’’ পুলিশের একটি সূত্রের খবর, বুধবার সারাদিন আটক পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পাঁশকুড়া থানায়।
তৃণমূল সূত্রের খবর, কুরবানের রাজনৈতিক দাপটে এলাকায় শুধু সিপিএম, বিজেপি নয়— কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল আদি তৃণমূলের একটা বড় অংশও। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মাইশোরা এলাকার বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের একটা অংশের সঙ্গে সখ্যতা ছিল আনিসুরের। তাই তদন্তকারীদের অনুমান, কুরবান খুনের পিছনে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাদেরও যোগ থাকতে পারে। কারণ, পুলিশের দাবি, মাইশোরা বাজারে যেভাবে নির্ভুল নিশানায় কুরবানকে গুলি চালিয়ে খুন করা হয়, তাতে তারা একটা বিষয়ে নিশ্চিত যে, মাইশোরা এলাকার স্থানীয় কেউ বা কারা ওই দিন কুরবানের গতিবিধির খবরাখবর পৌঁছে দিয়েছিল আততায়ীর কাছে।
মঙ্গলবারের আটকের ব্যাপারে জানতে চেয়ে ফোন করা হয়েছিল তমলুকের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাসকে। তবে তিনি ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy