Advertisement
০২ মে ২০২৪

তৃণমূল বাধা দিতে পারে,  ভয়ে আগাম পুলিশে

বোর্ড গঠনে তাদের দলের জয়ী প্রার্থীদের ভাঙানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। তাই শাসকদলের বাধার অভিযোগ তুলে আগে থেকেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হল বিজেপি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৮ ০১:২৩
Share: Save:

বোর্ড গঠনে তাদের দলের জয়ী প্রার্থীদের ভাঙানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। তাই শাসকদলের বাধার অভিযোগ তুলে আগে থেকেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হল বিজেপি।

আজ, মঙ্গলবার খড়্গপুর মহকুমার ১০টি ব্লকের ৯টিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হবে। পিংলার বেশ কয়েটি পঞ্চায়েতে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়ায় এখনই বোর্ড গঠন হচ্ছে না। ডেবরা, সবং, নারায়ণগড়, মোহনপুর ব্লকের অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় বোর্ড গঠনে অশান্তির আশঙ্কা কম। তবে কেশিয়াড়ি, খড়্গপুর-১, খড়্গপুর-২, দাঁতন-১ ও দাঁতন-২ ব্লকের কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতের ফল ত্রিশঙ্কু। বিজেপির জেতা পঞ্চায়েতে তৃণমূল বোর্ড গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল গেরুয়া শিবির।

এ বার কেশিয়াড়ির ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪টিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। নছিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জয়ী হওয়ায় আপাতত বোর্ড গঠন হচ্ছে না। ব্লকের বাকি ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বাঘাস্তি, লালুয়া ও গগণেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় বোর্ড গড়ার কথা বিজেপির। যদিও বিজেপির দাবি, কুসুমপুর, সাঁতরাপুর, ঘৃতগ্রাম ও খাজরা গ্রাম পঞ্চায়েতেও তাঁরা বোর্ড গঠন করবে। ওই সব পঞ্চায়েতে নির্দল ও সিপিএমের জয়ী প্রার্থীদের সমর্থন পাওয়ার আশায় রয়েছে বিজেপি।

তবে বিজেপির ব্লক নেতা তথা বিজেপির আদিবাসী মোর্চার জেলা সভাপতি বিনোদ মুর্মু বলেন, “আমরা ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭টিতে বোর্ড গঠন করব বলে আশাবাদী। কিন্তু তৃণমূল আমাদের বাধা দিতে পারে। আমরা দু’দিন আগেই বিডিও ও পুলিশকে জানিয়েছি।”

যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পবিত্র শীট বলেন, “কে কোথায় বোর্ড গঠন করবে সেটা তো সময় বলবে। তবে ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা বোর্ড গঠন করব এটা নিশ্চিত। এর জন্য আমাদের কোথাও কাউকে বাধা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।” শুধু কেশিয়াড়ি নয়, খড়্গপুর-১ ব্লকেও ভাল ফল করেছে বিজেপি। ব্লকের হরিয়াতাড়া, অর্জুনী ও বড়কোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। এ ছাড়াও গোপালী গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি ও তৃণমূলের সম সংখ্যক আসন থাকায় নির্দল প্রার্থীকে নিয়ে বোর্ড গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে দুই দল।

একইভাবে দাঁতন-১ ব্লকের শালিকোটা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি ও তৃণমূল সমসংখ্যক আসন পাওয়ায় অশান্তির আশঙ্কা করছেন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি মোশাব মল্লিক। উদ্বেগে তৃণমূলও। আবার দাঁতন-২ ব্লকের হরিপুরে বিজেপি ৭টি, তৃণমূল ৯টি, নির্দল ৩টি ও বামেরা ১টি আসন পেয়েছে।

কিন্তু সেখানে নির্দলকে নিয়ে বোর্ড গড়ার প্রস্তুতি ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে অভিযোগ বিজেপির শক্তি প্রমুখ সুব্রত ঘোড়ইয়ের।

মহকুমাশাসক সুদীপ সরকার বলেন, “আমরা সর্বত্রই নিরাপত্তার যথেষ্ট বন্দোবস্ত করেছি। আমি আশাবাদী, কেউ কাউকে বাধা দেবেন না। সুষ্ঠুভাবে বোর্ড গঠন হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Police Picketing TMC BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE