প্রতীকী ছবি।
স্টেশনের সামনে বাইক রেখে গিয়েছিলেন অমিত ঘোষ। ফিরে এসে দেখেন বাইকটি নেই। একই অবস্থা হয়, তরুণ মিত্র-রও। হাসপাতালের সামনে বাইক রেখে আত্মীয়কে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আর বাইকের খোঁজ পাননি তিনি। শুধু মেদিনীপুর নয়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাইক চুরির ঘটনা বাড়ছে। কিনারা হচ্ছে নামমাত্র ঘটনার। পরিস্থিতি দেখে এ বার বাইক আরোহীদের সচেতন করতে শুরু করল পুলিশ।
সচেতনতার জন্য লিফলেট তৈরি করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় তা বিলি করা হবে। পুলিশের এমন উদ্যোগ এই প্রথম। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ মানছেন, “বাইক চুরির ঘটনা ঘটছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই লিফলেট বিলি করা হবে।” পুলিশ মনে করছে, বাইক আরোহীরা সচেতন হলে বাইক চুরির ঘটনা অনেকটা কমবে।
মেদিনীপুর শহরে দিনেদুপুরে বাড়ির সামনে থেকে, অফিসের সামনে থেকে, দোকানের সামনে থেকে বাইক চুরির ঘটনা ঘটছে। যাঁদের বাইক এ ভাবে খোওয়া গিয়েছে, তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ, ঘটনার কথা পুলিশকে জানালেও কোনও লাভ হয় না। পুলিশ ‘দেখছি-দেখবো’ বলেই দায় এড়ায়।
এ ক্ষেত্রে কী পুলিশের নজরদারির অভাব রয়েছে? পুলিশের বক্তব্য, নজরদারি চলে। তার মধ্যেই কিছু দুষ্টচক্র চুরির ফাঁদ পাতে। বাইক চুরি কমাতে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে। দিন কয়েক আগে এক সিসি ক্যামেরায় বাইক চুরির ঘটনা ধরা পড়ে। যা দেখে চমকে ওঠেন পুলিশ আধিকারিকেরা। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি বাইকে করে দুই যুবক আসে। দু’জনেরই মুখ কাপড়ে ঢাকা। একজন নেমে রাস্তার পাশে থাকা একটি বাইক নিয়ে চম্পট দেয়। এই বাইকের লক ভাঙতে তার কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। কেউ বিষয়টি টেরও পাননি। পুলিশের এক আধিকারিকের বক্তব্য, “মানুষ সচেতন হলে চুরি ঠেকানো সম্ভব।”
সচেতনতা প্রচারে ঠিক কী বার্তা দেবে পুলিশ? বাইক আরোহীদের জানানো হবে, নিজের বাইক কখনও অনেক দূরে রাখবেন না। পুলিশের পরামর্শ, রাখার সময় বাইকের হ্যান্ডেল লক অবশ্যই ব্যবহার করবেন। একটি অতিরিক্ত হুইল লক ব্যবহার করবেন। ‘অ্যান্টি থেপ্ট সিকিউরিটি সিস্টেম অ্যালার্ম’-ও ব্যবহার করা যেতে পারে। পুলিশের বক্তব্য, চোরাই বাইকের খোঁজে তল্লাশি-অভিযান চালানো হয়। এ বার সেই অভিযানে আরও গতি আনা হবে। চুরি রুখতে সাদা পোশাকের পুলিশকেও নামানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy