ফাইল চিত্র।
বিধির গেরো। ঘোষণা করেও জেলার পুজোর উদ্বোধনে আসতে পারলেন না শুভেন্দু অধিকারী। দিন কয়েক আগে নেতাই থেকে শুভেন্দু ঘোষণা করেছিলেন, বুধবার, পঞ্চমীর দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের কয়েকটি পুজো মণ্ডপে প্রদীপ জ্বালাবেন। দাঁতনের দু’টি এবং গোয়ালতোড় ও খড়্গপুরের একটি করে পুজো উদ্বোধন করার কথা ছিল তাঁর। আয়োজনও সারা হয়ে গিয়েছিল উদ্যোক্তাদের। উন্মাদনা দেখা দিয়েছিল শুভেন্দু অনুগামীদের মধ্যে। কিন্তু আদালতের রায়ে উন্মাদনা বদলে গেল বিষণ্ণতায়।
জেলায় পুজো উদ্বোধনে কি আসবেন শুভেন্দু? মঙ্গলবার দিনভর জেলার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়তে থাকে। তৃণমূলের অন্দরেও চর্চা চলতে থাকে। যে ৪ টি পুজোর উদ্বোধনে আসার কথা ছিল সেই পুজো কমিটির কর্মকর্তারাও দোটানায় ছিলেন। শেষমেশ অবশ্য রাতেই ৪ টি পুজোর উদ্যোক্তারা জেনে যান ‘দাদা’ আসছেন না। বুধবার সকালে তা নিশ্চিত হয়। মেদিনীপুরে শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিত স্নেহাশিস ভৌমিক বলেন, "দাদা আসছেন না।’’
গোয়ালতোড়ের গাঙদুয়ারির একটি আশ্রমের ৭৮ বছরের পুরনো দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে আসার কথা ছিল শুভেন্দুর। সেজন্য বড় রকমের মঞ্চ বেঁধে, একদিকে দুর্গা, অন্যদিকে শুভেন্দুর ছবি দিয়ে ফ্লেক্স দিতে সুসজ্জিত করে রাখা হয়। এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা দুলাল মণ্ডল বলেন, ‘‘আদালতের রায় থাকায়, উনি (শুভেন্দু) আসছেন না, তবে পরে আসবেন বলে জানিয়েছেন।’’ আয়োজন সারা হয়ে গিয়েছিল দাঁতন ও খড়্গপুরের পুজো উদ্যোক্তাদেরও। হতাশ তাঁরাও। এক পুজোর উদ্যোক্তা বলেন, ‘‘দাদা (শুভেন্দু) কখনও সরকারি বিধি বা আদালতের নির্দেশ ভাঙেন না। তাই দাদা আসতে পারলেন না এবার। তবে উনি আমাদের নিরাশ করবেন না এটা নিশ্চিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy