এই ঘরেই চুরি হয়।
ঘুমের ওষুধ স্প্রে করে সব কিছু নিয়ে চম্পট দিল চোরেরা। দিঘায় বেড়াতে এসে এ ভাবে নগদ টাকা, মোবাইল সবকিছু হারিয়ে দিশেহারা এক পর্যটক। স্ত্রী এবং দুই কন্যাকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে না পেরে সৈকত শহরে সমস্যায় পড়েছেন তিনি। এই ঘটনায় সৈকত শহর দিঘার হোটেলগুলিতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার বাগুইআটির বাসিন্দা সন্দীপ কুমার গঙ্গোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তি গত ৩০ অক্টোবর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে দিঘায় আসেন। ওল্ড দিঘার ব্যারিস্টার কলোনিতে একটি অভিজাত হোটেলে উঠেছিলেন তাঁরা। সন্দীপবাবুর দাবি, ‘‘আমরা দোতলায় একটি ঘরে ছিলাম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। রাত আটটা নাগাদ হোটেলে ফিরে আসি। খাওয়াদাওয়া সেরে সকলে ঘুমোতে চলে যাই।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘মাঝরাতে হঠাৎ চোখ জ্বালা করতে থাকায় আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি ঘর থেকে কয়েক জন বেরিয়ে যাচ্ছে। ওই অবস্থাতেই আমি চিৎকার করি। কিছুক্ষণ পর আমার স্ত্রী ও মেয়েরাও উঠে পড়ে। কিন্তু চিৎকার করলেও হোটেলের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে দেখি গোটা ঘর লন্ডভন্ড। আমার মোবাইল ফোন এবং নগদ ২২ হাজার টাকা লোপাট।’’
সন্দীপবাবুর দাবি, শুতে যাওয়ার সময় তাঁদের ঘরের দরজা ভেতর থেকে লাগানো ছিল। তা সত্ত্বেও কী ভাবে হোটেলের রুমে চোরেরা ঢুকল তা বোঝা যাচ্ছে না। তাঁর পরিবার জানান, দোতলায় তাঁদের ঘরের পাশে খোলা বারান্দা এবং বারান্দা সংলগ্ন একটি বড় গাছ রয়েছে। সেই গাছে উঠে বারান্দা দিয়ে চোরেরা হোটেলের রুমে ঢুকেছিল তাঁদের দাবি। বৃহস্পতিবার রাতেই হোটেল কর্তৃপক্ষকে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। শুক্রবার সকালে সন্দীপবাবু দিঘা মোহনা থানায় চুরির লিখিত অভিযোগ জানান। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত চুরি যাওয়া জিনিসপত্র এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
হোটেলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই পর্যটক চুরির বিষয় আমাদের জানানোর পরেই অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেছি। কী ভাবে চুরি হ়ল তা জানতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে।’’ যদিও চুরির ঘটনায় হোটেলেরই কেউ জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। কাঁথির এসডিপিও অভিষেক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই পর্যটকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। আমরা হোটেলের কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy