Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ছাউনি ছাড়াই পাল্টা সভার ভাবনা

এ বার মেদিনীপুরে তৃণমূলের যে সভা হতে চলেছে, সেখানে ছাউনি না রাখারই ভাবনাচিন্তা হচ্ছে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৮ ০২:৩৯
Share: Save:

নরেন্দ্র মোদীর সভায় ছাউনি ভেঙে বিপত্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে বেশ কয়েক ফুট পিছিয়ে গিয়েছিল একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ। এ বার মেদিনীপুরে তৃণমূলের যে সভা হতে চলেছে, সেখানে ছাউনি না রাখারই ভাবনাচিন্তা হচ্ছে।

মোদীর সভার পাল্টা ওই সভা হবে ২৮ জুলাই। এ কথা একুশে জুলাই শহিদ সমাবেশের মঞ্চেই ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সভায় থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীরা। তৃণমূলের এক সূত্রে খবর, তৃণমূলের সভা ছাউনি ছাড়াই হতে পারে। রবিবার দুপুরে মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট স্কুল মাঠ পরিদর্শন করেন শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব। কোথায় মঞ্চ হবে, কোন দিক থেকে লোকজন ঢুকবেন, সব খতিয়ে দেখেন তাঁরা। তবে ছাউনির ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

দলের একাংশ চাইছেন, ২১ জুলাইয়ের সভার মতো ছাউনি ছাড়াই মেদিনীপুরের সভা হোক। তাহলে বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকে না। তা ছাড়া, বৃষ্টি হচ্ছে। জল-কাদায় মাঠের মাটি নরম। এ দিন মাঠ পরিদর্শন শেষে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “মেদিনীপুরের সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সোমবার কলকাতায় দলের এক বৈঠক রয়েছে।’’ সভায় কি ছাউনি হবে না? অজিতবাবু বলেন, “হাতে সময় খুব অল্প। এর মধ্যেই মঞ্চ তৈরি থেকে শুরু করে সভার যাবতীয় আয়োজন করতে হবে। ছাউনির ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। হবে কি হবে না, এক-দু’দিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে।’’

এ দিন সকালে মেদিনীপুরে জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তারপরই দলের এক প্রতিনিধি দল মাঠ পরিদর্শনে আসে। দলের এক সূত্রে খবর, মূল মঞ্চও খুব বড় হবে না, বড়জোর হাজার বর্গফুটের হবে। তেমন হলে ব্লক নেতৃত্বের বসার জন্য মূল মঞ্চের দু’দিকে পৃথক দু’টি মঞ্চ হতে পারে। কিন্তু জল-কাদায় ভর্তি মাঠে সভা হবে কী করে? তৃণমূলের এক জেলা নেতার দাবি, “৩০-৪০ লরি বালি ফেললেই মাঠের হাল অনেকটা ফিরে যাবে।’’

এখনও অবশ্য মাঠ থেকে বিজেপির সভার ছাউনি সরেনি। ফলে, তৃণমূলের সভার প্রস্তুতি কবে শুরু করা যাবে, তা নিয়ে সংশয়ে শাসক দলের নেতৃত্বই। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিতবাবু বলেন, “গত সোমবার সভা হয়েছে। এখনও বিজেপি ছাউনিই খুলতে পারেনি। এই তো ওদের অবস্থা!” তৃণমূলকে পাল্টা বিঁধছে বিজেপি-ও। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “আমরা দ্রুত ছাউনি সরাতে চেয়েছিলাম। পুলিশই ছাউনি সরাতে দেয়নি। এখন পাল্টা সভা হবে বলে তৃণমূলনেত্রী জানিয়ে দিয়েছেন। পুলিশের ঘুম ছুটছে! তড়িঘড়ি ভেঙে ভাঙা ছাউনি সরাতে বলা হচ্ছে।’’ জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার বক্তব্য, “আগেই ছাউনি সরানোর কথা জানানো হয়েছে।’’ বস্তুত শনিবার বিকেল থেকে ভেঙে পড়া ছাউনি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। ডেকরেটর সংস্থার এক কর্মী জানাচ্ছেন, পুরোটা সরাতে আরও অন্তত দু’দিন লাগতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE