দুই তৃণমূল নেতার নামে এই পোস্টার ঘিরেই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র
কাটমানি নিয়ে শাসক দলের নেতাদের নামে পোস্টার পড়ার বিরাম নেই। এ বার পোস্টার পড়ল তৃণমূলের কোলাঘাট ব্লক সভাপতি মদন মোহন মিশ্র, জেলা পরিষদের মেন্টর অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আসগর আলির বিরুদ্ধে। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন কোলাঘাট ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিন সকালে কোলাঘাটের গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রাইন, কেশাই ইত্যাদি গ্রামে গোপালনগর পঞ্চায়েতের প্রধান আসগর আলির বিরুদ্ধে সরকারি কাজে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়ে। পোস্টারে জব কার্ড দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কাটমানি নেওয়া, এলাকায় জোর করে জমি দখল, ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তোলার সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা সুদ-সহ ফেরতের দাবিও তোলা হয়েছে। পোস্টারে আসগর আলির ছবিও দেওয়া হয়েছে। সমস্ত গ্রামবাসী ও ভোটারদের সৌজন্যে দেওয়া পোস্টারগুলিকে ব্যক্তিগত চক্রান্ত বলেই মনে করছেন আসগর। তিনি বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এই কাজ করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি এর পিছনে কে বা কারা রয়েছে।’’
জেলা পরিষদের মেন্টর তথা তৃণমূলের কিসান খেতমজুর সংগঠনের রাজ্য সহ-সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের কোলাঘাট ব্লক সভাপতি মদন মিশ্রের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়া ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এদিন দেউলিয়া বাজারে বেশ কিছু ফ্লেক্স পড়ে। সেখানেও ঠিকাদারের কাছ থেকে কা’মানি নেওয়া ও জমি দখলের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই বিষয়ে অসিতবাবু বলেন, ‘‘এটা দুষ্কৃতীদের কাজ। আমার সম্মানহানি করতেই এ সব করা হয়েছে।’’ তৃণমূলের কোলাঘাট ব্লক সভাপতি মদনমোহন মিশ্র বৈষ্ণবচক সমবায় সমিতির সভাপতি। বছর খানেক আগে ওই সমবায় সমিতিতে বড়সড় আর্থিক দুর্নীতি সামনে আসে। মদনবাবু ওই সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান। ফ্লেক্সে সমবায় সমিতির দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়েছে মদনবাবুর বিরুদ্ধে। যদিও তাঁর দাবি, ‘‘ওই সমবায়ে আর্থিক দুর্নীতি করেছেন ম্যানেজার। তাঁরা বেশ কিছু টাকা ফেরতও দিয়েছেন। আমার সম্মানহানি করতেই এ সব করা হয়েছে। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’’
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই কাটমানির ভাগ নিয়ে দল চালাচ্ছেন। তাঁর দলের নেতারা তো করবেনই। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy