লঞ্চে উঠতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিল এই খুদে। নিজস্ব চিত্র
মহালয়ায় তর্পণের জন্য ঘাটে ভিড় করেন পুন্যার্থীরা। তাই আগে থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাটো করেছিল হলদিয়া পুরসভা। কিন্তু সোমবার তর্পণ করতে গিয়ে হলদি নদীতে পড়ে গেলেন দুই ব্যক্তি। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
এ দিন সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার তর্পণ ঘাটে। স্থানীয় সূত্রের খবর, হলদিয়ার তর্পণ ঘাট, গেঁওখালির ত্রিবেণী সঙ্গম, কুঁকড়াহাটি— সর্বত্র ছিল ভিড়। তর্পণ করতে গিয়ে পা ফসকে দু’জন জলে পড়ে যান। তড়িঘড়ি পুলিশ কর্মীরা গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। ঘটনায় আহতদের মধ্যে এক জন বৃদ্ধ। দু’জনকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, সকালের ওই ঘটনার পরে ফের ওই ঘাটে অঘটনের শিকার হন তিন লঞ্চ যাত্রী। এ দিন সকালে সাগর থেকে আসা একটি পান বোঝাই লঞ্চে উঠতে গিয়ে পাটাতন থেকে জলে পড়ে যান মা এবং দুই শিশু। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারেরা নদীর জলে ঝাঁপ দিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। দ্রুত ওই যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে এবং বোয়ার সাহায্যে নিরাপদে জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যাত্রীরা সকলে তমলুকের ডিমারির বাসিন্দা। ওই মহিলার দাবি, কর্মসূত্রে তাঁর স্বামী সাগরদ্বীপে থাকেন। সেখানে ছেলে- মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু লঞ্চে ওঠার আগেই বিপত্তি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, লঞ্চে ওঠা নামার জন্য ব্যবহৃত কাঠের পাটাতন একেবারে মসৃণ হয়ে গিয়েছে। খাঁজ কাটা না থাকায় পা পিছলে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রতি পদে থাকে। তা সত্ত্বেও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ পুর কর্তৃপক্ষ। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, ফেরি চলাচলে আরও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। অন্যথায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যান স্থানীয় কাউন্সিলর নমিতা ভুঁইয়া। তাঁর কথায়, ‘‘সিভিক ও পুলিশ না থাকলে বড় বিপদ ঘটতে পারত। তবে যেভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওঁরা তিন জনকে বাঁচিয়েছেন তাতে ওঁদের পুরস্কৃত করা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy