Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
কলেজের বিরুদ্ধে নালিশ টিএমসিপি-র

কাউন্সেলিং শেষের পরেও পড়ুয়া ভর্তি

বিতর্কের শুরু খড়্গপুর কলেজে বাংলা অনার্সে এক ছাত্রীর ভর্তি ঘিরে। গত শনিবার কলেজে বাংলা ও ইংরেজি বিভাগে ছিল ভর্তির কাউন্সেলিং। নির্বিঘ্নে কাউন্সেলিং করতে মোতায়েন ছিল পুলিশও।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৮ ০৩:৫৫
Share: Save:

দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে ভর্তি নিয়ে ‘জুলুমের’ অভিযোগ ওঠায় কলেজে কলেজে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার খোদ কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই নিয়মনীতি না মেনে ছাত্রভর্তি করানোর অভিযোগে সরব হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)।

বিতর্কের শুরু খড়্গপুর কলেজে বাংলা অনার্সে এক ছাত্রীর ভর্তি ঘিরে। গত শনিবার কলেজে বাংলা ও ইংরেজি বিভাগে ছিল ভর্তির কাউন্সেলিং। নির্বিঘ্নে কাউন্সেলিং করতে মোতায়েন ছিল পুলিশও। নিয়ম অনুযায়ী, সকাল ১১টার মধ্যে কাউন্সেলিং সেন্টারে ঢুকতে হয় নতুন পড়ুয়াদের। তার পরে শুরু হয় কাউন্সেলিং। অভিযোগ, ওই দিন এক ছাত্রীকে কাউন্সেলিংয়ের শেষলগ্নে বেলা সাড়ে ৩টের সময় কলেজে ঢুকিয়ে বাংলা অনার্সে ভর্তি করা হয়েছে। এমনকী অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ সামন্তের ‘প্রশ্রয়ে’ কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য তথা কলেজকর্মী এই কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ।

টিএমসিপি-র শহর সভাপতি আকাশ মাহাতোর অভিযোগ, “কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী তথা পরিচালন সমিতির সদস্য অপু প্রধান নিয়ম ভেঙে গত শনিবার বেলা সাড়ে ৩টের সময় এক ছাত্রীকে কাউন্সেলিংয়ে নিয়ে আসেন। তারপরে তাঁকে সরাসরি বাংলা অনার্সে ভর্তি করিয়ে দেন।’’ তাঁর দাবি, ‘‘যদিও ওই ছাত্রী বাংলা অনার্সে নয়, ইংরেজি অনার্সে ফর্ম পূরণ করেছিলেন। এই বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে জানালে তিনি গুরুত্ব দেননি।” এ নিয়ে কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য তথা কলেজকর্মী অপু প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না। যা বলার অধ্যক্ষ বলবেন।” এ দিন সন্ধ্যায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ও কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য অপূর্ব প্রধানের বিরুদ্ধে খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ করেছে কলেজের টিএমসিপি-র সদস্য ছাত্ররা। যদিও এবিভিপি-র জেলা সাধারণ সম্পাদক সৌরিন গোস্বামীর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘টিএমসিপি ও কলেজের একাংশ কর্মী যোগসাজশ করে ভর্তি প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছেন। টিএমসিপি-র কারচুপির পর্দা ফাঁস হতেই ওঁরা কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘কেউ নির্দোষ নন। গোটা ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’’ যদিও অধ্যক্ষ বিদ্যুৎবাবুর দাবি, ‘‘ওঁরা অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন কিন্তু সেই অভিযোগ না নিয়ে অফিসে জমা করতে বলেছিলাম।” একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘‘ভর্তি প্রক্রিয়া চলাকালীন কলেজে ছাত্র সংগঠনগুলির ঢোকা বন্ধ রেখেছি। সেই ক্ষোভে ওরা এমন মিথ্যা অভিযোগ করছে। নিয়ম মেনেই পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

College Admission Bribe Kharagpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE