পলিথিনে মোড়া মূর্তি। নিজস্ব চিত্র
বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসেছে। মূর্তিটি অবশ্য মুখ ঢাকা হয়ে পড়ে রয়েছে। আবরণ উন্মোচন হয়নি। বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবর্ষে আবরণ উন্মোচন হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনাও আছে। ঘটনা মেদিনীপুরের। মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মূর্তির আবরণ উন্মোচন করবেন কি না, জল্পনা রয়েছে তা নিয়ে।বিদ্যাসাগর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয় রয়েছে মেদিনীপুর শহরে। ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ের সামনেই বিদ্যাসাগরের পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসানো হয়েছে। বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবর্ষ উপলক্ষে নানা কর্মসূচির পরিকল্পনা ছিল ব্যাঙ্কের। তার অন্যতম ছিল এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা। করোনা পরিস্থিতিতে প্রস্তাবিত সব কর্মসূচি রূপায়িত হয়নি। বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক ছিল, শুভেন্দুই বিদ্যাসাগরের মূর্তির আবরণ উন্মোচন করবেন। কিন্তু এখনও আবরণ উন্মোচনের সূচি চূড়ান্ত হয়নি। ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির সম্পাদক প্রদীপ পাত্র মানছেন, ‘‘বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষেই ব্যাঙ্কের সামনে এই মূর্তি বসানো হয়েছে।’’ শুভেন্দুরই তো মূর্তির আবরণ উন্মোচন করার কথা? প্রদীপের জবাব, ‘‘ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানেরই মূর্তির আবরণ উন্মোচন করার কথা। ওঁর কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। যেদিন সময় দেবেন, সেদিন মূর্তির আবরণ উন্মোচন হবে। তবে এখনও কিছু ঠিক হয়নি। ঠিক হলে জানিয়ে দেব।’’ ব্যাঙ্কের অন্য এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে আমাদের অনেক পরিকল্পনা ছিল। করোনা পরিস্থিতির জন্যই তো প্রস্তাবিত সব কর্মসূচি করা গেল না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে হয়তো ২৯ সেপ্টেম্বরই মূর্তির আবরণ উন্মোচন হত।’’ অনেকে মনে করছেন, এই সম্ভাবনা এখনও রয়েছে। আপাতত, মূর্তিটি নীল পলিথিনে মোড়া রয়েছে।
বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী পালনে এ বার শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা কি কর্মসূচি করবেন, সে নিয়েও জল্পনা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। অনেকে মনে করছেন, শুভেন্দু নিজেও বীরসিংহে আসতে পারেন। মেদিনীপুরের মাটির ঐতিহ্যের প্রতি, বিদ্যাসাগরের প্রতি তিনি কতখানি শ্রদ্ধাশীল শুভেন্দু সব সময়েই তা মনে করিয়ে দেন। আগে মেদিনীপুরে এক অনুষ্ঠানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘আমাকে যখন মহানগরের লোকেরা বলেন, ‘আমার বাড়িতে সাতমাইলের লোক রান্না করে’, ‘আমার বাড়িতে পানিপারুলের লোক কাজের লোক’। আমি তখন তাঁকে বলি, ‘বাবু, তুমি তোমার নাম, তোমার বাবার নাম, তোমার বংশের নামটা তো লেখো মেদিনীপুরের জন্য। তাঁর নাম হচ্ছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। বর্ণপরিচয়।’ এটা তো আমরা শিখিয়েছি সবাইকে।’’ মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বসানো বিদ্যাসাগরের মূর্তির বন্ধন- মুক্তি কবে হয়, সে নিয়ে জল্পনা চলছে শহরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy