Advertisement
০৭ মে ২০২৪
tmc bjp coronavirus

পঞ্চায়েত অফিস খোলা, কর্মীরা যাবেন কী ভাবে!

সরকারি নির্দেশ মেনে গত ২০ এপ্রিল থেকে পূর্ব মেদিনীপুরেও পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ অফিস খুলতে শুরু করেছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২০ ০২:১৬
Share: Save:

করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে ২৪ মার্চ থেকে বন্ধ করা হয়েছিল বিভিন্ন সরকারি দফতর-সহ সমস্ত পঞ্চায়েত অফিস। ফলে সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজকর্ম বন্ধ ছিল। এর ফলে গ্রামীণ এলাকায় একশো দিনের কাজ-সহ বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য সরকার ২০ এপ্রিল থেকে সতর্কতাবিধি মেনে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি দফতর খোলার অনুমোদন দিয়েছে। কেন্দ্র সরকার একশো দিনের প্রকল্পে কিছু কাজে ছাড় দিয়েছে।

সরকারি নির্দেশ মেনে গত ২০ এপ্রিল থেকে পূর্ব মেদিনীপুরেও পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ অফিস খুলতে শুরু করেছে। কিন্তু লকডাউনে সমস্ত যাত্রীবাহী বাস এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ওই সব অফিসের অনেক কর্মী অফিসে আসা-যাওয়া করতে সমস্যায় পড়েছেন বলে অভিযোগ। ফলে এই সব অফিসে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু রাখতে অসুবিধা হচ্ছে বলে মানছেন পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা।

জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির অফিসগুলিতে ২৫ শতাংশ কর্মীদের উপস্থিতিতে কাজ চালাতে বলা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ২২৩টি ও ২৫টি পঞ্চায়েত সমিতির অফিস রয়েছে। এই সব অফিসের অনেক কর্মী ব্লক এলাকার বাইরে থেকে তো বটেই জেলার দূরবর্তী বা ভিন জেলা থেকে বাস ও ট্রেনে যাতায়াত করতেন। লকডাউনের জেরে বাস-ট্রেন বন্ধ থাকায় একাংশ কর্মী বাধ্য হয়ে সাইকেল ও মোটরসাইকেলে অফিসে এলেও অনেকে আসতে পারছেন না বলে অভিযোগ।

শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক-১ পঞ্চায়েত প্রধান শরৎ মেট্যা বলেন, ‘‘বাস-ট্রেন বন্ধ থাকায় কর্মীদের কয়েকজন সাইকেল ও মোটরসাইকেলে আসছেন। কিছু কর্মী ব্লক প্রশাসনের দেওয়া গাড়িতে আসছেন। তবে সব কর্মীরা আসতে না পারায় স্বাভাবিক কাজকর্ম চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণে সমস্যা তো হচ্ছেই। তার মধ্যেই যতটা সম্ভব কাজের চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ ময়না পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুব্রত মালাকার বলেন, ‘‘অফিস খুললেও বাস-ট্রেন বন্ধ থাকায় কর্মীদের অনেকে আসতে পারছেন না। ফলে একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।’’

জেলা সভাধিপতি দেবব্রত দাস বলেন, ‘‘৩০ কিলোমিটারের বেশি দূর থেকে আসেন এমন কর্মীদের অফিসে আসার জন্য বলা হচ্ছে না। কাছাকাছি এলাকার কর্মীদের দিয়েই কাজ করতে বলা হয়েছে। এতে যতটা সম্ভব কাজ করার চেষ্টা হচ্ছে।’’ অতিরিক্ত জেলাশাসক (ট্রেজারি) শেখর সেন বলেন, ‘‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অফিসে কাজ করতে বলা হয়েছে। কর্মীদের যাতায়াতের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসন পদক্ষেপ করছ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tmc bjp Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE