দলাদলির ঊর্ধ্বে উঠে কেন্দ্রের ইতিবাচক মনোভাবের প্রশংসা করলেন তমলুকের সাংসদ তথা হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সন্ধ্যায় হলদিয়া বন্দরে টাটা মারটেড ইন্টারন্যাশনাল লজিস্টিক সংস্থার রেলওয়ে সাইডিং উদ্বোধনে এসে তিনি বললেন, “হলদিয়া বন্দরের বিষয়ে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে।”
নাব্যতা কমে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই হলদিয়া বন্দরে বড় জাহাজ ঢোকার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। নদীগর্ভ থেকে পলি সরানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর ড্রেজিং করাতে হয়। পলি পরিষ্কারের কাজ করে ড্রেজিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া। তার জন্য পোর্ট ট্রাস্টকে ভর্তুকি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। শুভেন্দু জানান, “ড্রেজিংয়ে ভর্তুকির টাকা অনেক দিন ধরে পড়ে ছিল। সেই টাকা ২০১৩-১৪ সালে অনেকটাই পাওয়া গিয়েছে।” তবে আগের কেন্দ্রীয় সরকারেরও ইতিবাচক মনোভাব ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নাব্যতা সমস্যার জন্য হলদিয়া বন্দরের ভবিষ্যৎ নেই বলে কোনও-কোনও মহলে যে সমালোচনা হয়, তারও প্রতিবাদ করেছেন শুভেন্দু।
তাঁর দাবি, “আজ এই রেলওয়ে সাইডিং চালুর মধ্যে দিয়ে আবারও প্রমাণিত হল, হলদিয়া বন্দরে গতি বাড়ছে।” এই দাবির সপক্ষে তাঁর যুক্তি, “টাটা মারটেডের এম ডি আর এন মূর্তিই বলছেন, এখানে কাজের পরিবেশ ভাল। এক দিনের জন্যও কাজ বন্ধ হয়নি। এতেই প্রমাণ হয়, হলদিয়ায় কাজের পরিবেশ রয়েছে।”
কয়েক দিন আগেই কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী হলদিয়ায় ঘুরে গিয়েছেন। শুভেন্দুর দাবি, জাহাজ মন্ত্রক হলদিয়া বন্দরে উন্নয়নমূলক কাজ করতে চাইছে। ক্যাপিটাল ড্রেজিং এবং ট্রান্সলোডিং চালু করার পাশাপাশি হলদিয়া পোর্ট ট্রাস্ট চালুর দাবিও তোলেন তিনি। শুভেন্দুর যুক্তি, “মুম্বইয়ে যদি জওহরলাল নেহরু পোর্ট ট্রাস্ট ও মুম্বই পোর্ট ট্রাস্ট থাকতে পারে, তা হলে হলদিয়া পোর্ট ট্রাস্ট এবং কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টও হতে পারে। আশা করি, আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে বিষয়টি বোঝাতে পারব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy