মূক ও বধির এক কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। গত ২ জুন খড়্গপুর গ্রামীণ থানার বুড়ামালার হলদি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। রবিবার রাতে ওই কিশোরীর বাবা পুলিশে অভিযোগ জানান। অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার দিন পাড়ার মুদি দোকানে গেলে দোকান মালিক রামানন্দ চক্রবর্তী তাঁর পনেরো বছরের মেয়ের শ্লীলতাহানি করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় স্তরে আলোচনার জন্য রবিবার রামানন্দকে ডাকতে গেলে ওই কিশোরীর বাবাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুড়ামালার হরিণা হাইস্কুলের ওই কিশোরী জন্ম থেকেই মূক ও বধির। ইঙ্গিতে মনের ভাব জানায় সে। গত ২ জুন পাড়ার মুদি দোকানে জিনিস কিনতে গিয়েছিল সে। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য খালি হাতেই ফিরে আসে। পরিবারের লোকজন জিজ্ঞাসা করলেও জবাব দেয়নি। রবিবার ওই কিশোরীকে কাকিমা ফের তাকে জিনিস আনতে ওই দোকানে যেতে বলে। তখন সে আপত্তি জানায়। পরিজনেরা চেপে ধরলে তারপর সে ২ জুনের ঘটনার কথা জানায়। কিশোরীর বাবা বলেন, “ওর মা যতটুকু বুঝেছে তাতে রামানন্দই মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছিল।”
রবিবার ঘটনার কথা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে জানালে সন্ধ্যায় পাড়া বৈঠকের ডাকা হয়। সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য বছর পঁচিশের রামানন্দকে ডাকতে যান কিশোরীর বাবা ও সুদর্শন পাত্র নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা। তখন রামানন্দ, তাঁর বাবা পঞ্চানন চক্রবর্তী ও দাদা পরমানন্দ চক্রবর্তী ওই নাবালিকার বাবাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরে গ্রামবাসীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর পুলিশে অভিযোগ জানান ওই কিশোরীর বাবা। রবিবার রাত দশটা নাগাদ খড়্গপুর লোকাল থানায় এসে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy