Advertisement
১১ মে ২০২৪

আমডহরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করেন ফার্মাসিস্ট

বাড়ির দুয়ারে স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথচ সেখানে চিকিৎসক নেই। তাই সামান্য জ্বর-জ্বালা জন্যও আমডহরার মানুষজনকে ছুটতে হয় দূরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

হাসপাতালের-ফার্মাসিস্ট: রোগীদের ওষুধ দিচ্ছেন। ছবি: মৃন্ময় সরকার

হাসপাতালের-ফার্মাসিস্ট: রোগীদের ওষুধ দিচ্ছেন। ছবি: মৃন্ময় সরকার

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানিতলা  শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯ ০২:৪০
Share: Save:

দিন কয়েক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন আমডহরার সফিক শেখ। বাড়ির কাছে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পা রেখেই টের পেয়েছিলেন ভুল হয়ে গিয়েছে, ডাক্তার কোথায়!

অগত্যা জ্বর গায়েই যাতায়াত মিলিয়ে ৬০ টাকা খরচ করে অবশেষে নশিপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। বলছেন, ‘‘ডাক্তারই যদি না থাকে তা হলে অত বড় বাড়ি বানানোর কি দরকার শুনি!’’

এমন ক্ষোভ ছড়িয়ে রয়েছে আমডহরার অনেকের মনেই। বাড়ির দুয়ারে স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথচ সেখানে চিকিৎসক নেই। তাই সামান্য জ্বর-জ্বালা জন্যও আমডহরার মানুষজনকে ছুটতে হয় দূরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বছর পঁচিশ আগে আমডহরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসের পাশে গড়ে তোলা হয়েছিল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। তৈরি হয় বর্হিবিভাগও। প্রথম দিকে চিকিৎসা পরিষেবা ঠিকঠাক থাকলেও ওষুধ মিলত না। এখন ওষুধ যদি বা পাওয়া যায় কিন্তু ডাক্তার? কানার মধ্যে ঝাপসার মতো ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রয়েছেন এক জন ফার্মাসিস্ট, তবে তাঁর আনাগোনাও মর্জিমাফিক। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাসপাতাল থাকলেও সপ্তাহের বেশীরভাগ দিনই আসেন না ডাক্তাররা। ফলে কারও কোনও রোগ হলে প্রায় কুড়ি কিলোমিটার রাস্তা উজিয়ে ডাক্তার দেখাতে যেতে হয় নশিপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। আর যাদের উপায় নেই তারা গ্রামীণ চিকিৎসকরে ভরসায় নিজেকে সঁপে দেন।

শুধু তাই নয় স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ আমডহরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বর্হিবিভাগ ছাড়াও জরুরি বিভাগ চালু হবে বলে গত বছর দুয়েক আগে আলাদা করে একটি ভবন তৈরি হয়েছে। তবে তাও এখনও চালু হয়নি। সেখানে এখন সাপখোপের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরজেমান বিবি বলছেন, ‘‘হাসপাতালে নিয়মিত ডাক্তার আসে না, সেই ভাবে যদি দেখা যায় তা হলে মাসের বেশীরভাগ দিনই ডাক্তার আসেন না। আমার মধুমেহর সমস্যা রয়েছে আজ এক সপ্তাহ ধরে ঘুরছি ডাক্তারের জন্য।’’

তবে হাসপাতালের এক কর্মী জানাচ্ছেন, ওই হাসপাতালে একজন ডাক্তার পোষ্টিং রয়েছেন কিন্তু তিনি আসেন না, তাই রোগী দেখেন ফার্মাসিস্ট।

এ ব্যাপারে ভগবানগোলা ২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক উৎপল মজুমদার বলেন, ‘‘ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সপ্তাহে চার দিন ডাক্তার যাওয়ার কথা। ব্লকে অত ডাক্তার কোথায়!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE