প্রতীকী ছবি।
পুরসভা নির্বাচনের আগেই খুনের ষড়যন্ত্রের মামলায় নাম জড়ালো জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা বহরমপুর মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি শিলাদিত্য হালদারের।
বুধবার রাতে বহরমপুরের গোরাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কাছে নাকা তল্লাশি চালানোর সময় অস্ত্র ও বোমা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় বহরমপুর শহর লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা শিলাদিত্য হালদার ও মণীন্দ্রনগর অঞ্চল কংগ্রেসের সহসভাপতি শ্রীদাম সেনের নাম রয়েছে। পুলিশের দাবি, বহরমপুর শহর লাগোয়া তৃণমূলের এক নেতাকে খুনের পরিকল্পনার জন্য ওই সব অস্ত্র আনা হচ্ছিল। সেই পরিকল্পনার মাথা হলেন শিলাদিত্য।
দলের নেতার নাম মামলায় জড়ানোর কথা ছড়িয়ে পড়তেই শুক্রবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন বহরমপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী। পরে জেলা কংগ্রেস অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা খবর পেয়েছি শিলাদিত্য হালদার ও দলের এক কর্মীর নামে পুলিশ মিথ্যা মামলা করেছে। সামনেই পুর নির্বাচন। তার আগে শাসকদল পুলিশকে দিয়ে এ ধরনের মিথ্যা মামলা করছে। এটাই তৃণমূলের চেনা চরিত্র। পুলিশকে পাশে নিয়ে এ ভাবেই রাজনীতি করে রাজ্যের শাসকদল।’’
বার বার মামলায় শিলাদিত্যর নাম জড়াচ্ছে কেন? শিলাদিত্য হালদার ডাকাবুকো কংগ্রেস নেতা। বাম আমলেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। শিলাদিত্যের দাবি, ‘‘জেলা পরিষদের সভাধিপতি থাকার সময় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য খুব চাপ দিত তৃণমূলের তদানীন্তন নেতারা। কিন্তু কংগ্রেস ছাড়ার কথা ভাবানি কখনও। আমি দল ছাড়িনি। তারই খেসারত বার বার দিয়ে চলেছি। বারে বারে আমার বিরুদ্ধে তাই মরিয়া হয়ে মিথ্যা মামলা করছে তৃণমূল।’’
তাঁর দাবি, ভাকুড়িতে তৃণমূল নেতা খুনের মামলায় তাঁর নাম জড়ানো হয়েছিল। একই ভাবে। গত বছর সেই মামলা থেকে তাঁকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। শিলাদিত্যের দাবি, ‘‘এতেই প্রমাণিত হয় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে। সামনেই পুর নির্বাচন। কংগ্রেসকে দুর্বল করতে তাই মরিয়া তৃণমূল।’’
পুলিশ সুপার অজিত সিংহ যাদব বলছেন, ‘‘অস্ত্র-সহ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছি শিলাদিত্যের নেতৃত্বে শহরে একজনকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাই এই মামলা ওদের
নাম এসেছে।’’
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক দাস বলছেন, ‘‘অকারণে কাউকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রয়োজন নেই তৃণমূলের। আমরা পুলিশকে নিয়ে রাজনীতি করি না। কংগ্রেস বুঝে গিয়েছে পুরভোটে হার নিশ্চিত। তাই শহরে খুনের রাজনীতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy