সৌমিক হেসেন। নিজস্ব চিত্র
দলের প্রস্ততি সভায় কাউকে ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ আবার কাউকে ‘ভিটামিন’ দিয়ে ঠান্ডা করার হুমকি দিলেন ডোমকলের পুরপ্রধান সৌমিক হোসেন।
১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভার জন্য দলীয় কর্মীদের নিয়ে মিটিং করার ছলে এ দিন তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীদের ‘দাওয়াই’ বাতলালেন সৌমিক।
যা শুনে জেলা নেতাদের যেমন অস্বস্তি বাড়ল তেমনই দলে তাঁর বিরোধীদের কপালে পড়ল ভাঁজ।
জেলার এক তাবড় নেতা বলছেন, ‘‘সৌমিকের এই ঔদ্ধত্যই ওকে বিপদে ফেলবে।’’ আর তৃণমূলের চেনা গোষ্ঠী বিবাদে ঘোর সৌমিক বিরোধী বলে পরিচিতরা পাল্টা শুনিয়ে রাখছেন, ‘‘মনে রাখবেন, অনেক সময়ে ডাক্তারকেও স্যালাইন দিতে হয়। ১৯ তারিখের পরে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের বেডে ফেলে ওঁকে সেটাই দেওয়া হবে।’’
ডোমকলের রবীন্দ্র মোড়ে সোমবার সৌমিকের সভা তাই কার্যত দাঁড়িয়ে গেল, দুই গোষ্ঠীর খোলাখুলি লড়াইয়ের প্রথম পাঠ।
মাস কয়েক ধরে জলঙ্গি ও ডোমকলে সৌমিকের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে দলেরই একাংশ। কিছু দিন আগে রানিনগরে শুভেন্দুর সভায় তাঁকে বক্তব্যও রাখতে দেননি তাঁরা। সৌমিক যে তাঁর চেনা ডোমকলে খানিকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন, মেনে নিচ্ছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরাও। এ দিনের সভায় তাই নিজের ‘শক্তি’ প্রদর্শনের প্রয়োজন ছিল যুব নেতার। কর্মী থেকে পুর কাউন্সিলর ব্রিগেড মঞ্চে তুলে সে কাজে তিনি খানিক সফল হলেও তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীরা যে গোপনে শান দিচ্ছেন, দলের অন্দরেই সে খবর ঘোরাফেরা করছে অহরহ।
এ দিন সৌমিক বলেন, ‘‘যাঁরা ডোমকলে অধীরবাবুর (চৌধুরী) দালালি করছেন তাদের ১৯ তারিখের পরে দেখে নেব। যাঁরা দিনে তৃণমূলের ফেট্টি বেঁধে ঘুরছেন আর রাতে কংগ্রেস ও সিপিএমের সঙ্গে বৈঠক করছেন, তাদের বলছি, ১৯ তারিখের পরে ভিটামিন আমি দিয়ে দেব!’’
১৯ তারিখ ব্রিগেডের সভার পরেই যে দলের সাংগঠনিক বদল হতে চলেছে তাতে কার দিকে পাল্লা ভারী হবে রেষারেষি চলেছে তা নিয়েই। হুমকি পাল্টা হুমকি, কখনও গড়িয়ে যাচ্ছে হাতাহাতিতে, রক্তপাতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy