প্রতীকী ছবি
দু’সপ্তাহ আগে আমেরিকা থেকে হরিহরপাড়ার বাড়িতে ফিরেছেন তরুণী। দিন দশেক আগে আগে হরিহরপাড়ার বাড়িতে ফিরেছেন এক বিমান সেবিকাও। আর ঘরে ফেরা ওই দুই তরুণীর আতঙ্ক ছড়িয়েছে হরিহরপাড়া বাজার এলাকায়। সাধারণ মানুষের নালিশে জেরবার পুলিশ–প্রশাসন। সোমবার এই তরুণী বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। তবে তাঁদের প্রাথমিক ভাবে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার কোনও লক্ষন নেই। হরিহরপাড়া বাজার এলাকার বছর পঁচিশের ওই তরুণী আমেরিকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকুরি করতেন। দিন কয়েক আগে তরুণীর দাদা স্থানীয় ওষুধের দোকানে বোনের জন্য জ্বরের ওষুধ কিনতে গেলে শোনেন— ‘ওষুধ দেওয়া যাবে না।’ পাড়ার মুদির দোকানেরও এক রা। এমনকি আশপাশের বাসিন্দারা তাঁদের বাড়িতে যাওয়াও বন্ধ করেছেন। প্রায় সামাজিক বয়কটের মুখে আস্ত পরিবারটি।
হরিহরপাড়ার বাড়িতে ফেরা বিমান সেবিকার পরিবারের অবস্থাও একই। ওই তরুণী সম্প্রতি মায়ানমার, বাংলাদেশ ঘুরে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ঘরে ফিরে তিনিও হোম কোয়রান্টিনে রয়েছেন। তবুও দিন কয়েক ধরে তাঁর প্রতিবেশীদের দাবি, বিদেশ পেরত ওই তরুণী রোগ ছড়াতে পারেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশ থেকে ফিরেছেন বলে তাঁদেরও আইসোলেশনে রাখতে হবে বলে তাঁদের দাবি। জেলা প্রশাসনের তরফে পড়শিদের ভরসা দেওয়া হলেও তাঁরা মানতে নারাজ। তাঁদের চাপে এদিনও দুই পরিবারে গিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে দুই তরুণীর। আমেরিকা থেকে আসা তরুণীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে দমদম বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই সে বাড়ি ফিরেছে। আর বাড়ি ফিরেই সে হোম কোয়রান্টিনে রয়েছেন। স্বাস্থ্য কর্মীদের তরুণী জানান, মঙ্গলবার তাঁর ১৪ দিন হোম কেয়রান্টিনের মেয়াদও শেষ হচ্ছে। অন্য দিকে, পেশায় বিমান সেবিকাও হোম কোয়রান্টিনে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। হরিহরপাড়ার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আজিজুল লস্কর বলেন, ‘‘আমরা দুই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছি। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy