পাশে আছি। নিজস্ব চিত্র
প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়া হয়ে গিয়েছিল আগেই। তারপর গত কয়েক দিন ধরে এলাকার কয়েকশো বাসিন্দার বাড়িতে ঘুরে ওঁরা কুপন বিলি করেছিলেন। ছাপানো সেই কুপনে জানানো হয়েছিল, লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এলাকার দরিদ্র গ্রামবাসীদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে। বুধবার বিকেলে সেই কর্মসূচিতে ভিড় ভাঙল।
বুধবার বেলডাঙার মাঝেরপাড়ায় বৃহন্নলা সজনী দেবী এবং তাঁর কয়েক জন সঙ্গী গ্রামবাসীদের মধ্যে চাল, আলু এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় আরও কিছু জিনিস বিতরণ করেন। তবে করোনাসংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেই জন্য প্রাপকদের আগেভাগেই সজাগ করা হয়েছিল। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে প্রত্যেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ চাল-আলু বিলি শুরু হয়। প্রশাসন এবং পুলিশের কর্তারাও ওই কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাছে বাসিন্দারা গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়ান সেই জন্য চুন দিয়ে দাগও কেটে দেওয়া হয়। পরে সজনী বলেন, “তিন কেজি চাল, দেড় কেজি আলু, ৫০০ গ্রাম পেঁয়াজ, নুনের প্যাকেট, সয়াবিন এবং মুড়ি প্রত্যেকের হাতে তুলে দিয়েছি আমরা। প্রাথমিক ভাবে ১২৫ জনকে বাছা হয়েছিল। কিন্তু বহু দুঃস্থ বাসিন্দা লাইনে দাঁড়ান। তাঁদের কথা ভেবে আরও ২৫ জনকে জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘টানা লকডাউন চলছে। এর মধ্যে এক জনের বাড়িতে গিয়ে দেখি ওঁরা খেতে পাচ্ছেন না। তারপরই সিদ্ধান্ত নিই দুঃস্থদের সাহায্য করব।’’ এদিন এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বেলডাঙা-১ ব্লকের বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র ও বেলডাঙা থানার ওসি জামালউদ্দিন মণ্ডল। তাঁরা করোনাভাইরাস নিয়ে গ্রামবাসীদের সচেতন করেন। অন্যদিকে, সজনীদের এমন উদ্যোগে খুশি বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy