প্রতীকী ছবি।
তদন্তে নেমে হরিণঘাটার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইসার)-এর ছাত্র সাগরের একটি ডায়েরি হাতে পেল পুলিশ। সেই ডায়েরিতে সাগর বেশ কিছু ব্যক্তিগত কথা লিখেছিলেন। তা দেখে পুলিশের মনে হয়েছে, কোনও মানসিক টানাপড়েনে ভুগছিলেন বছর কুড়ির ওই মেধাবী ছাত্র। সাগরের এই ডায়েরি থেকে সূত্র মিলতে পারে বলে দাবি পুলিশের। সোমবার আইসার ক্যাম্পাসের হস্টেলে একটি অব্যবহৃত শৌচাগার থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, সাগরকে খুন করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যারই ইঙ্গিত মিলেছে। তদন্তে নেমে আত্মহত্যার একাধিক সূত্র মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। হস্টেল থেকে সাগরের একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়। তাঁর ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।সাগর যে নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন এমনটা নয়। তবে তিনি নিজের বেশ কিছু কথা লিখেছেন। কোনও একটি ভুল করে সে কথা সে ডায়েরিতে লিখেছেন। কিন্তু কী ভুল তিনি করেছেন তার উল্লেখ নেই। তিনি লিখেছেন, ‘‘বাবা-মায়ের নামে শপথ করে বলছি, এমন ভুল আর করব না। আমাকে বড় হতেই হবে।’’ বেশ কয়েকটি পৃষ্ঠায় নিজেকে উদ্দীপ্ত করার বেশ কিছু কথাও লেখা রয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বার বার তিনি সফল হওয়ার শপথ নিয়েছেন। ডায়েরি দেখে পুলিশেরও প্রশ্ন, কোনও ভাবে কি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়েছিলেন সাগর? কারণ, তিনি ডায়েরিতে নিজেই লিখেছেন, ‘‘নিজের লক্ষ্য থেকে সরে যাওয়া অপরাধ। আমাকে সফল হতেই হবে। নিজের লক্ষ্য থেকে সরে গিয়ে আমি অপরাধ করে ফেলেছি। আর কখনও এমন করব না।’’
পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সাগরের মধ্যে যে একটা টানাপড়েন চলছিল তা পরিষ্কার। কিন্তু, তার জন্য তিনি আত্মঘাতী হয়েছিলেন কি না তা স্পষ্ট নয়। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে সাগরের মৃত্যুর কারণ কী? যদি তিনি আত্মঘাতীই হন, তা হলে পরীক্ষার দিনকেই তিনি কেন বেছে নিলেন? সে প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy