গঙ্গার ঘাটে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন অজয় দে। —নিজস্ব চিত্র।
নতুন বছরের প্রথম সূর্য তখনও ভাল করে ওঠেনি। এমন সময়ে সপার্ষদ গঙ্গার পারে হাজির হলেন শান্তিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অজয় দে। শহরের বহু মানুষ তখন স্নানে ব্যস্ত। নববর্ষের দিনেও সাত সকালে রাজনীতি? জিভ কেটে অজয়বাবু বললেন, ‘‘না। না। রাজনীতি নয়, সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্যে এসেছি।’’ এরপর ঘুরে ঘুরে অনেকের সঙ্গে টুকরো কথা, হাত মেলানো, ভালমন্দের খোঁজ নেওয়া— এমনই ভাবে জনসংযোগের মাধ্যমে কৌশলে ‘ভোট প্রচার’ সারলেন প্রবীণ এই নেতা।
ডান থেকে বাম— অনেক প্রার্থীই এমনই নানা উপায়ে প্রচার সারলেন। কেউ দিনটা শুরু করেছেন কালীপুজো দিয়ে, কেউবা বাজনা বাজিয়ে মিছিল করেছেন, আবার কেউ ঘরে বসে শুধু টেলিফোনে এ দিনের প্রচার সেরেছেন। হরিণঘাটা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী নিত্যগোপাল দত্ত এ দিন একাই প্রচারে বেরিয়েছিলেন। কেন? অনেকের মত, ‘‘তাতে পরিবেশটা আন্তরিক থাকল। একান্তে প্রচারও হল।’’ কল্যাণী পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী লক্ষ্মী ওরাও আবার নানা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে মিছিল করলেন। তাতে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণও করা গেল। আবার উৎসবের পরিবেশটাও বজায় রইল।
ব্যতিক্রমও রয়েছে। আর পাঁচটা দিনের মতোই এ দিন প্রচার সেরেছেন কল্যাণীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী নির্মল সরকার। বীরনগরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী গোবিন্দচন্দ্র পোদ্দার অন্য দিনের মতোই বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার সেরেছেন। মুচকি হেসে বছরের প্রথম দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। আবার রানাঘাটের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ঝর্ণা চট্টোপাধ্যায় এ দিন প্রচারেই বের হননি। তবে দিনটা শুরু করেছেন কালীপুজো দিয়ে। তাই বলে প্রচার থেমে থাকেনি। টেলিফোনে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন।
তবে সকলেরই দাবি, এ দিনটা তাঁরা তেমন ভাবে রাজনীতির কথায় ঢোকেননি। এক প্রার্থীর কথায়, ‘‘অন্য দিনগুলো তো রাজনৈতিক আকচাআকচি আর অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে কাটে— নববর্ষের শুরুটা একটু নয় অন্য রকমই হল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy