এক রোগীর ইঞ্জেকশন আর এক রোগীকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল হাসপাতালের কর্তব্যরত এক চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যায় পেটের যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তেহট্ট গরিবপুরের বাসিন্দা সরস্বতী বিশ্বাস। চিকিৎসক রোগীকে দেখে তিনটি ইঞ্জেকশন কেনার কথা জানান সরস্বতীদেবীর স্বামী প্রণব বিশ্বাসকে। অভিযোগ, সেই ইঞ্জেকশন সরস্বতীদেবীকে না দিয়ে তাঁর পাশের শয্যার অন্য একজন রোগীকে দিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার কথা জানিয়ে হাসপাতালের সুপারের কাছে অভিযোগ জানান প্রণববাবু।
প্রণববাবু বলেন, “গত রাতে স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ডাক্তারবাবু তিনটে ইঞ্জেকশন নিয়ে আসতে বলেন। একটি ইঞ্জেকশন হাসপাতালে পাওয়া গেলেও বাকি দু’টি বাইরে থেকে কিনতে বলা হয়। সেই দু’টো ইঞ্জেকশন আমি এনে ডাক্তারবাবুকে দিই।’’ প্রণববাবুর অভিযোগ, প্রায় এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সরস্বতীদেবী যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন। কিন্তু তাঁকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়নি। পরে চিকিৎসককে জানতে চাইলে তিনি বলেন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়ে গিয়েছে। একই দাবি করেন কর্তব্যরত নার্সও। পরে জানা যায় সরস্বতীদেবীকে যে ইঞ্জেকশন দেওয়ার কথা সেই ইঞ্জেকশন অন্য রোগীকে দেওয়া হয়েছে।
প্রণববাবুর অভিযোগ, সব ওষুধ যদি হাসপাতাল থেকে দেওয়া হবে বলে সরকারের নির্দেশ হয় তবে আমাকে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হল কেন? আবার এই ঘটনার পরে সেই একই ওষুধ হাসপাতাল থেকেই দেওয়া হল। তা হলে আগে কেন দেওয়া হল না?
নদিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলেন, “ওষুধ হাসপাতাল থেকেই দেওয়ার কথা। এখানে কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। আর একজনের ইঞ্জেকশন অন্য জনকে দেওয়ার ব্যাপারে কারও গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy